azar: সকাল থেকে মেঘলা আকাশ জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ছাতা মাথায় রাস্তায় মানুষজন। রাতের প্রবল বৃষ্টিতে ...
কালিম্পং পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হলে যে কোনও মুহূর্তে ডুয়ার্সের লিস, ঘিস, চেল নদী গতিপথ পাল্টে গ্রামমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল।
যেভাবে নির্বিচারে নদীগুলির বুকে ভারী মেশিনের সাহায্যে খনন করে বালি, পাথর তুলে নেওয়া হচ্ছিল, তাতে বর্ষায় ফুলেফেঁপে ওঠা নদী যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে গ্রামের দিকে এগিয়ে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সেচ কর্তা থেকে শুরু করে আম আদমি। আজ, মঙ্গলবার ভোরে অবশেষে সেটাই সত্যি হল।
বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের চান্দা কোম্পানি এলাকায় রেল ও জাতীয় সড়কের সেতুর মাঝে লিস নদীর তীব্র জলস্রোত এক লহমায় বাঁধ উড়িয়ে দিয়ে বসতি এলাকার দিকে এগিয়ে চলেছে। ঘরবাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। চাষের জমি আপাতত জলের তলায়। ক্ষিপ্ত এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছেন সেচ দফতরের মাল সাব ডিভিশনের কর্তারা। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার পাশাপাশি ভাঙা বাঁধ মেরামত করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক।
এদিকে সেবকে ধস। এই ধসের কারনে থমকে যায় গাড়ি চলাচল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রবল বৃষ্টি হয় পাহাড় এবং সমতলে। পাহাড়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ডুয়ার্সের নদীগুলি যেমন ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তেমনি পাহাড়ে বিভিন্ন রাস্তায় ধস নামার খবর পাওয়া গিয়েছে। গতকাল গভীর রাতে সেবক সেতুর কাছে ভূমিধসে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল।
রাতভোর প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে গেল মাল ব্লকের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের লিস নদীর বাঁধ। জলমগ্ন হয়ে পড়ল চান্দা কোম্পানির বেশ কিছু এলাকা। কৃষিজমি-সহ বসতবাড়ি জলমগ্ন। প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে, সোমবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে ডুয়ার্স-সহ পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায়। তারই জেরে ডুয়ার্সের উপর দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলিতে ক্রমশ বেড়েছে জলস্ফীতি।
এর জেরে প্রবল জলের স্রোতে ক্ষতির মুখে জাতীয় সড়কের একটি কার্লভার্টও।