সাধারণত, মুখ ঢাকার সব কিছুকেই আমরা মাস্ক বলে থাকি বা মাস্ক বলেই চিনি। আর জানি না বলে রেসপিরেটরকেও আমরা বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক-ই বলে থাকি। কিন্তু মাস্ক আর রেসপিরেটরের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক! আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
মাস্ক কখনওই খুব আঁটোসাঁটো হয় না। মাস্ক সব সময়ই সামান্য আলগা হয়। নাক আর মুখ ঢাকার জন্যই এটি ব্যবহার করা হয়। ধুলো-বালি বা জীবানু সংক্রমণ ঠেকাতে নাক ও মুখের জন্য সিল তৈরির জন্য রেসপিরেটরগুলি টাইট ফিটিং হয়।
মাস্ক মূলত হাঁচি-কাশির সময় নির্গত অসংখ্য ড্রপলেটকে বাতাসে মেশা থেকে রোধ করে। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বলতে গেলে, মাস্ক এক তরফা সুরক্ষা (one way protection) নিশ্চিত করে। কিন্তু রেসপিরেটর একাধারে যেমন হাঁচি-কাশির সময় নির্গত অসংখ্য ড্রপলেটকে আটকায়, তেমনই বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধূলিকণা, জীবানুকেও নাকে-মুখে ঢোকা রোধ করে। অর্থাৎ, রেসপিরেটর দুই তরফা সুরক্ষা (two way protection) নিশ্চিত করে।
অধিকাংশ মাস্কেই কোনও রকম সুরক্ষা রেটিং থাকে না। আর রেসপিরেটরে বায়ু প্রবাহকে পরিশুদ্ধ (এয়ার ফিল্টারিং) করার পাশাপাশি কত শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানুকে নাকে-মুখে ঢোকা রোধ করতে পারে, তারও মাপকাঠি বা সুরক্ষা রেটিং লেখা থাকে রেসপিরেটরের উপর।
করোনা আতঙ্কের আবহে নজপ্রিয় হয়ে ওঠা N95 আসলে একটি রেসপিরেটর। এটি ৯৫ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানুকে নাকে-মুখে ঢোকার হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। N95-এর থেকে N99 বা FFP3 রেসপিরেটর প্রায় ৯৯ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানু রোধে সক্ষম। P-3 বা N100 রেসপিরেটর প্রায় ৯৯.৯৭ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানু রোধে সক্ষম।
সার্জিক্যাল মাস্ককে ঢিলেঢালা বা কম নিরাপদ বলে মনে হলেও পরীক্ষা করে জানি গিয়েছে, সাধারণ কাপড়ের মাস্ক যেখানে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ধূলিকণা ও জীবানু রোধে সক্ষম সেখানে ত্রিস্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ধূলিকণা ও জীবানু রোধ করতে পারে।