Home> দেশ
Advertisement

মুখঢাকা ছাত্রী আমি নই, রবিবার জেএনইউ ক্যাম্পাসকে নকশাল ক্যাম্প বানিয়ে ছেড়েছিল বামেরা: সম্ভাবি

সম্ভাবি বলেন, কয়েকশো লোকের একটি দল ক্যাম্পাসে আমাদের ২০-৩০ জনের একটি দলের ওপরে হামলা চালায়

মুখঢাকা ছাত্রী আমি নই, রবিবার জেএনইউ ক্যাম্পাসকে নকশাল ক্যাম্প বানিয়ে ছেড়েছিল বামেরা: সম্ভাবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায় একদল মুখোশ পরা দুষ্কৃতী। হামলাকারীদের একধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই চিহ্নিত করা হয়েছে মুখঢাকা এক তরুণীকে।  দাবি করা হয়েছিল সম্ভাবি নামে এবিভিপির সমর্থক ওই ছাত্রীই ছাত্রীদের হোস্টেলে হামলাকারী দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু জি ২৪ ঘণ্টার তদন্ত বলছে একেবারে অন্য কথা।

আরও পড়ুন-হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে থানায় অভিযোগ জানান, প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

সম্ভাবি জানালেন, একসঙ্গে দুটি জায়গায় কারও হাজির থাকা অসম্ভব।  রবিবার প্রথম হামলা হয় পেরিয়ার হোস্টেলে।  হামলায় মারাত্মক জখম হই।  এরপরই সাড়ে চারটে নাগাদ আমাকে এইমসের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়।  যে ছবি দেখানো হচ্ছে সেই হামলা হয় সাড়ে ছয় কিংবা সাতটার মধ্যে।  এছাড়াও দুটি ছবি পাশাপাশি রেখে পরীক্ষা করলে অনেকগুলো পার্থক্য চোখে পড়বে।

ভাইরাল হওয়া ছবির তরুণী সম্পর্কে সম্ভাবি বলেন, ছবিতে ওই তরুণীর বাঁ হাত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সেখানে কোনও ধাগা বা সুতো নেই। কিন্তু আমার হাতে তা রয়েছে।  এছড়াও আমার কাছে এইমসের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট রয়েছে। ওই সার্টিফিকেটে ভর্তির সময় ও ছাড়া পাওয়ার সময় লেখা রয়েছে। নথিতে দেখা যাচ্ছে সন্ধে সাড়ে ছটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত আমি এইমসেই ছিলাম।  এছাড়া ছবিতে যে তরুণীকে দেখা যাচ্ছে তার জামার চেক কালো আর আমারটা নীল।

সম্ভাবি  আরও দাবি করেন, পরিকল্পনা করেই ওই ছবি ভাইরাল করা হয়েছে। জামিয়াতে হামলার সময়েও একই জিনিস করা হয়েছিল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টিভিস্ট ভরত শর্মার ছবি হামলাকারী হিসেবে চালানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন-দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা; ভোটগ্রহণ ৮ ফেব্রুয়ারি, ১১ তারিখ গণনা

কী হয়েছিল রবিবার? সম্ভাবি বলেন, কয়েকশো লোকের একটি দল ক্যাম্পাসে হামলা চালায়।  আমাদের ২০-৩০ জনের একটি দলের ওপরে হামলা চালায়। আমরা দৌড়ে পেরিয়ার হোস্টেলে ঢুকে যাই। সেখানেও আমাদের ওপরে হামলা করা হয়।  ফি বৃদ্ধির আন্দোলন শেষপর্যন্ত দুপক্ষের নীতি আদর্শের লড়াইয়ে পরিণত  হয়।  ওইদিন হামলা করিনি বরং আক্রান্ত হয়েছিলাম। কিছু পড়ুয়া এখানে রেজিস্ট্রেশন করাতে চায়। তাদের তা করতে দিচ্ছে না বাম ছাত্ররা। তারা এমন একটা জিনিস তুলে ধরতে চায় যাতে মনে হয় এই সরকার শিক্ষার বিরুদ্ধে। যারা পড়তে চায় তাদের  বিরোধিতা করে বামেরা। কাল জেএনইউকে ওরা নকশাল ক্যাম্প বানিয়ে ছেড়েছিল।

Read More