নিজস্ব প্রতিবেদন: সবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের রায়ে এখন থেকে সব বয়সের মহিলাদের জন্যই কেরলের ওই শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরের দরজা খুলে গেল। এর আগে ১০-৫০ বছরের মহিলাদের ওই মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
কেরলের ওই প্রাচীর আয়াপ্পার মন্দিরে ঋতুমতী মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এক্ষেত্রে বয়সের সীমা বেধে দেওয়া হয়েছিল ১০-৫০ বছর। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বধীন বেঞ্চে ওই মামলাটির শুনানি চলছিল।
Supreme Court removes all restrictions imposed by Sabarimala Temple with regard to entry of women between the ages of 10 to 50
— ANI Digital (@ani_digital) September 28, 2018
Read @ANI Story | https://t.co/0QChSKte5x pic.twitter.com/g9VbaVj7m4
আরও পড়ুন-যৌন হেনস্থা নিয়ে ফের সরব তনুশ্রী, উঠল ইরফান, সুনীলের নামও!
শুক্রবার মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, নৈতিকতার দোহাই দিয়ে মহিলাদের অধিকার হরণ করা যাবে না। আয়াপ্পায় ভক্তরা সবই হিন্দু। ফলে ভক্তদের অধিকারের মধ্যে ভাগাভাগি হতে পারে না। সবরীমালা মন্দিরে ভক্তদের ঢোকার ক্ষেত্রে যে বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা কোনও ধর্মীয় আচার হতে পারে না। ১০-৫০ বছরের মেয়েদের মন্দিরে প্রবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া সংবিধানের পরিপন্থী।
ঐতিহাসিক ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, আরাধনার ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য থাকতে পারে না। যে দেশে দেবী পূজিত হন সেখানে এই বৈষম্য চলতে পারে না। এক্ষেত্রে বেঞ্চের ৫ বিচারপিতর মধ্যে ৪ জনই একমত। একমাত্র বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা দ্বিমত পোষণ করেছেন।
আরও পড়ুন-সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বর্ষপূর্তি, সেনাবাহিনীর ‘পরাক্রম পর্ব’ প্রদর্শনীর উদ্বোধনে মোদী
উল্লেখ্য, এ জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, কেরলের সবরীমালা মন্দিরে প্রার্থনা করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে মহিলাদের। বিচারপতি আরএফ নরিম্যান, এমকে খানভিকার, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পর্যবেক্ষণ, 'মন্দিরে পুরুষ প্রবেশ করতে পারলে, মহিলারাও পারবেন। যা পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, মহিলাদের ক্ষেত্রেও। মন্দিরে প্রবেশাধিকার আইনের উপরে নির্ভর। এটা সাংবিধানিক অধিকার অনুচ্ছেদ ২৫ ও ২৫ এই অধিকার দিয়েছে'।
এনিয়ে একাধিকবার অবস্থান বদলেছে কেরল সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছে, মহিলাদের মন্দিরে ঢুকতে দেওয়ার পক্ষে সরকার। কেরলের মন্ত্রী কে সুরেন্দ্রন বলেছিলেন, ''মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার দেওয়া উচিত বলে মনে করে রাজ্য সরকার। হলফনামায় নিজেদের অবস্থান আমরা জানিয়েছি। এবার আদালতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজ্য সরকারের মতামতের সঙ্গে সম্মত দেবস্বম বোর্ড।''