Home> দেশ
Advertisement

মাওবাদী দমনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও টাকার উত্‍স বন্ধের দাওয়াই রাজনাথের

মাওবাদী দমনে ভাতে মারায় জোর দিল কেন্দ্র। জোর দেওয়া হল প্রযুক্তি ব্যবহারেও। আজ দিল্লিতে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। গেরিলাদের টাকার উত্‍স বন্ধের দাওয়াই দেন তিনি। সমস্যা কমায় জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে উপদ্রুত এলাকায় আরও বেশি জওয়ান মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে।

মাওবাদী দমনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও টাকার উত্‍স বন্ধের দাওয়াই রাজনাথের

ওয়েব ডেস্ক: মাওবাদী দমনে ভাতে মারায় জোর দিল কেন্দ্র। জোর দেওয়া হল প্রযুক্তি ব্যবহারেও। আজ দিল্লিতে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। গেরিলাদের টাকার উত্‍স বন্ধের দাওয়াই দেন তিনি। সমস্যা কমায় জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে উপদ্রুত এলাকায় আরও বেশি জওয়ান মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে।


গত মাসে সুকমায় মাওবাদী হামলায় ৩৫ জন আধা-সেনার মৃত্যুর পর চাপে সরকার। মাওবাদী দমনের রাস্তা খুঁজতে দশ রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানাকে বৈঠকে ডাকা হয়।


কেন্দ্রের হিসাব বলছে, এই ১০ রাজ্যের ৬৮ জেলায় মাওবাদীদের প্রভাব রয়েছে। ৩৫ জেলায় রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। গেরিলা দমনে এদিন আট দফা পদক্ষেপ গ্রহণে জোর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যার নাম দেওয়া হয়েছে সমাধান। যোগ্য নেতৃত্ব, আক্রমণাত্মক রণকৌশল, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, দরকারি গোয়েন্দা তথ্য, কতটা কাজ হল এবং ফল কী হল তা মূল্যায়নের সঠিক ব্যবস্থা, প্রযুক্তির ব্যবহার, এলাকাভিত্তিক অ্যাকশন প্ল্যান ও গেরিলাদের টাকার উত্‍স বন্ধ করা। মাওবাদী দমনে এই আটটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।


মাওবাদী দমনে নিরাপত্তাবাহিনীকে স্থানীয় বাসিন্দাদের আস্থা অর্জন করা নিয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ দিনের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, মাওবাদী মোকাবিলায় সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সংযুক্ত কমান্ড। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে আনতে হবে গতি। তৈরি করতে হবে স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘ মেয়াদী রণকৌশল। মাওবাদী দমনে রাজ্যগুলিকে দায়িত্ব নিতে হবে। উন্নত করতে হবে গোয়েন্দা পরিকাঠামো। মাওবাদী দমন অভিযানে সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে রাজ্যকে সাহায্য করতে হবে। দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে নতুন উপদ্রুত এলাকা।


মাওবাদী দৌরাত্ম্য বন্ধ হওয়ায় জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী কমানোর কথা ভাবছে দিল্লি। বৈঠকে শান্ত জায়গা থেকে উপদ্রুত এলাকায় বাহিনী সরানোর কথা বলা হয়। জোর দেওয়া হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারেও। মাওবাদী ডেরার খোঁজ পেতে আরও বেশি করে ড্রোন ব্যবহারে জোর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


এ দিনের বৈঠকে ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে এবং রাজ্য পুলিসের ডিজি সুরজিত্‍ কর পুরকায়স্থ। পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা বাদে বাকি ছয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন। (আরও পড়ুন- আজ দিল্লিতে মাওবাদী অধ্যুষিত ৯ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রাজনাথ সিংয়ের)

Read More