Home> দেশ
Advertisement

জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানো যায় না, দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাকভি

সম্প্রতি, ২৪ বছর বয়সী তবরেজ আনসারিকে বাইকচোর সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয়। জোর করে তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ স্লোগান বলানো হয়

জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানো যায় না, দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাকভি

নিজস্ব প্রতিবেদন: জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলানো উচিত নয় বলে জানালেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। তবে, এ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেও দাবি তাঁর। এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মুখতার আব্বাস নাকভি জানান, মোদী সরকারের জমানায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অনেক বেশি নিরাপদ মনে করে। বড় সাম্প্রাদায়িক হিংসার নজির নেই। তাঁদের সামাজিক মান উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে মোদী সরকার।

সম্প্রতি, ২৪ বছর বয়সী তবরেজ আনসারিকে বাইকচোর সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয়। জোর করে তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ স্লোগান বলানো হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে নাকভিকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে রাজনৈতিক ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে বলে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গ্রামে এখনও রাম-রাম বা সেলাম বলে থাকেন হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে। এটাই ভারতের সংস্কৃতি। এ দেশের সংখ্যাগুরু ডিএনএ-তেও এই সংস্কৃতি রয়েছে।

আরও পড়ুন- দেশে গণপিটুনির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী কংগ্রেস: জামাত-ই-উলেমা হিন্দ

নাকভি বলেন, গণপিটুনির মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করা উচিত। অতীতে যে সব ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও আইনি পদক্ষেপও করা হয়েছে। এ দেশে গণপিটুনির মতো অপরাধ মোকাবিলায় যথাযথ আইন রয়েছে বলে দাবি করেন। উল্লেখ্য, গতকাল যোগী সরকারের কাছে গণপিটুনি সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া জমা পড়ে। সেখানে সাত বছরের শাস্তির পরিবর্তে যাবজ্জীবন শাস্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আক্রান্তের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। পুলিস এবং জেলা শাসকের গাফিলতির অভিযোগ উঠলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

Read More