জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একেবারে সিনেমার মতো দৃশ্য। চোখের সামনে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান ব্রিজ। চোখের পলকে নদীর উপরে পিলার থেকে খাড়া করা ব্রিজের বিরাট অংশ বিকট শব্দ করে পড়ে গেল জলে। বিহারের ভাগলপুরের সুলতানগঞ্জে ভেঙে পড়ে ব্রিজটি। এনিয়ে দ্বিতীয়বার ভেঙে পড়ে ব্রিজের অংশ। সেবার তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী এনিয়ে বলেন খারাপ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার জন্য়ই ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন-তাঁর আমলে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন, পাল্টা গোধরা প্রসঙ্গ টানলেন মমতা
ব্রিজটি যোগ করছে আগওয়ানি ও সুলতানগঞ্জেকে। গত বছর এপ্রিল মাসে ব্রিজটির একাংশ ভেঙে পড়ে। এবার চারটি পিলারের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা পিলারের অংশ ভেঙে পড়ে। ফলত কীভাবে ফের ব্রিজটি ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে সেই সময় সেখানে কোনও শ্রমিক ছিলেন কিনা তার খোঁজ খবর করছে এনডিআরএফ। গুজরাট বিধানসভা ভোটের আগে একটি ঝুলন্ত সেতু উদ্বোধনের পরই তা নদীতে ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় বহু মানুষের। ভাগলপুরের ক্ষেত্রে প্রচুর মানুষের মৃত্যুর কোনও আশঙ্কা নেই। তবে তার পরেও তল্লাশি চালিয়ে দেখা হচ্ছে কেউ সেখানে চাপা পড়েছে কিনা।
Bihar: Under Construction bridge collapses in Bhagalpur
— ANI Digital (@ani_digital) June 4, 2023
Read @ANI Story | https://t.co/ebKooSOvF9#Biharbridgecollapses #Bhagalpur pic.twitter.com/FGiCdkGxTj
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের একটি স্বপ্নের প্রকল্প এই সেতু। খরচ ধরা হয়েছে ১৭৫০ কোটি টাকা। নিজে ওই ব্রিজের কাজকর্ম তদারকি করছেন। তার পরেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে য়াচ্ছে। আপাতত জলের উপরে সার্চ লাইট জ্বালিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি কীভাবে ফের ব্রিজটি ভেঙে পড়ল তানিয়ে প্রশাসনিক তদন্ত হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যে অংশটি ভেঙে পড়েছে তার দৈর্ঘ ১০০ মিটার।
বিহার স্টেট ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার যোগেন্দ্র কুমার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ব্রিজটির একাংশ ভেঙে পড়েছে। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। এর বেশি এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। ঘটনাস্থলেই নতুন কিছু বলতে পারব। খাগারিয়ায় জেলাশাসকের দাবি, হতাহতের কোনও খবর নেই।
এলাকার বিধায় ডা সঞ্জীব কুমার বলেন, ব্রিজ তৈরির মাল মশলার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে গিয়েছেন। তিনি বলেন, আগেই আমি এনিয়ে আগেই বলেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প হলেও ব্রিজটি তৈরি করছে এস পি সিংলার মতো কোম্পানি। সমস্যা এখানেই।