জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত বছর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে একটি গাড়ি থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এবার মুকেশ ও তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হল। ওই হুমকি ফোন এল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। সোমবার এনিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে হাসপাতালের ল্য়ান্ডলাইন নম্বরে মোট তিনটি হুমকি ফোন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় তদন্তে নেমে এখনওপর্যন্ত আফজল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। উল্লেখ্য, গতবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি মম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি এসইউভি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২০টি জিলেটিন স্টিক। সন্ধেবলেয়ায় ওই গাড়িটিকে লক্ষ্য করেন আম্বানির বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস এসে ওিইসব জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় বোম্ব স্কোয়ার্ডকে। ঘটনার তদন্তে নামে মুবম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
আরও পড়ুন-নদীর নামেই পরিচয়, স্বাধীনতার ৭৫ পূর্তিতে নতুন স্টেশন পেল ক্যানিংবাসী
গাড়িটির চালকের আসনের পাশে পাওয়া যায় একটি ব্যাগ। সেখান থেকে একটি চিঠিও উদ্ধার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, 'নীতা ভাবি, মুকেশ ভাইয়া। এটা শুধু ট্রেলার। পরের বার মালপত্র ভর্তি করে তোমার বাড়িতে রেখে যাব।' তদন্তে উঠে আসে গাড়ির যে নম্বর প্লেট সেটি জাল। তবে গাড়িটির চেসিস নম্বর পরীক্ষা করে দেখা যায় গাড়িটি মুম্বইয়ের বাইরের। পাশাপাশি জিলেটিন স্টিকগুলি কেনা হয়েছিল নাগপুর থেকে।
বিস্ফোরক রাখার ঘটনায় আটক করা হয় এক পুলিসকর্মীকে। দীর্ঘ সময়ে ধরে তাঁকে জেরা করা হয়। জানা যায় ওই পুলিসকর্মী মুম্বই পুলিসের একজন এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ। নাম সচিন ওয়াজ। মুকেশ আম্বানির বাড়ির বাইরে গাড়িতে বিস্ফোরক উদ্ধার ও মনসুখ হীরেনের খুনের তদন্তে উঠে এসেছে সচিন ওয়াজের নাম। জানা গিয়েছে, যে গাড়িতে বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে, সেই গাড়ি ব্যবহার করতেন সচিন। তবে সেই অভিযোগ মানতে চাননি অভিযুক্ত পুলিসকর্মী।
আম্বনির বাড়ির সামনে গাড়িতে বিস্ফোরক রাখার ঘটনায় আটক এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ