Home> দেশ
Advertisement

কংগ্রেসে ফিরছেন ‘বহিষ্কৃত’ মণি

 যার জেরে কার্যত বিপাকে পড়ে কংগ্রেস। তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রলে নামেন রাহুল গান্ধী। অসৌজন্যমূলক মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছিল মণিশঙ্করকে।

কংগ্রেসে ফিরছেন ‘বহিষ্কৃত’ মণি

নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেসে ফিরছেন ‘বহিষ্কৃত’ নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার। মণিশঙ্করকে বহিষ্কারের নির্দেশ তুলে নিচ্ছে কংগ্রেসের শৃঙ্খলা কমিটি। শনিবার  কংগ্রেস সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। গত বছর গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন মুখে এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদীকে ‘নীচ আদমি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মণিশঙ্কর।  যার জেরে কার্যত বিপাকে পড়ে কংগ্রেস। তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রলে নামেন রাহুল গান্ধী। অসৌজন্যমূলক মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছিল মণিশঙ্করকে।

আরও পড়ুন- হরিদ্বারে গঙ্গায় ভাসানো হল অটল বিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম

বরাবরই চাঁচাছোলা কথা বলতে পছন্দ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রী মণিশঙ্কর। গুজরাত নির্বাচনের প্রচারে শেষ বেলায় মোদীকে উদ্দেশ করে ‘নীচ আদমি’ বলেছিলেন তিনি। যার পরই মণিশঙ্করের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পাল্টা প্রচারে নামে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী ‘গুজরাত অস্মিতা’ কাজে লাগিয়ে তাঁর প্রচারে বলেন, “কী দোষ করেছি আমি? গুজরাতি, নিচু জাত, গরিব ঘরের ছেলে, এটাই আমার দোষ? ওদের এত ঘৃণা?” এই প্রসঙ্গে রাহুল এবং সনিয়ার সমালোচনা করতে ছাড়েননি মোদী। সনিয়ার ‘মত কা সওদাগর’ বা রাহুলের ‘রক্তের দালালি’ মন্তব্যকে তুলে নিয়ে আসেন তাঁর প্রচারে।

আরও পড়ুন- স্কুল পাঠ্যে 'মিলখা' ফারহান, শিক্ষামন্ত্রীকে ভুল শোধরানোর অনুরোধ অভিনেতার

এ বারের গুজরাত নির্বাচনে মোদীর হাওয়া রুখে দিয়ে শক্ত জমি তৈরি করেছিল রাহুল গান্ধীর দল। ক্ষমতায় না-এলেও কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে অক্সিজেন পান খোদ রাহুলও। গুজরাত নির্বাচন ঘিরে রাহুল যে পারদ চড়িয়েছিল,  মণিশঙ্করের এমন মন্তব্যে তা ভেস্তে যায় বলে মনে করেন কংগ্রেসের একাংশ নেতারা। মণিশঙ্করের মন্তব্যেকে হাতিয়ার করে দলিতদের ভোট টানতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালায় বিজেপি।

আরও পড়ুন- রাত নটার পর এটিএমগুলিতে আর টাকা ভরা হবে না, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

মণিশঙ্করকে সমায়িক ভাবে বহিষ্কার করার পাশাপাশি ক্ষমা চাওয়ারও নির্দেশ দেন রাহুল গান্ধী। রাহুল টুইটে জানান, “ওরা আকছাড় অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে থাকে। কংগ্রেসের এমন সাংস্কৃতি নেই। মণিশঙ্কর যে ভাষায় মন্তব্য করছেন, তা দলবিরোধী। ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিক তিনি।” দলের নির্দেশে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিলেও স্পষ্ট জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতি দিন যে ভাষায় মন্তব্য করেন, আমার জবাব দেওয়ার হক আছে। তিনি আরও বলেন, “আমি হিন্দিতে কমজোরি। ‘নীচ’ মানে অন্য কিছু হলে ক্ষমাপ্রার্থী।”

Read More