ওয়েব ডেস্ক: আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় দোষী সাব্যস্ত 'চিন্নাম্মা' শশীকলা। ২১ বছরের পুরানো এই মামলায় দশ কোটি টাকা জরিমানা এবং চার বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ফলে আগামী দশ বছরের জন্য সংসদীয় রাজনীতির নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। আর তাই, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌড়ে এখন অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পন্নিরসেলভম বলাই যায়। এই রায়কে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরাট সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, তামিল ভূমের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবে তাই নিয়ে বিগত এক সপ্তাহে ব্যাপক দড়ি টানাটানি চলছে তামিলনাড়ুতে। একদিকে শশীকলা, অন্যদিকে পন্নিরসেলভম। আম্মা জয়ললিতার দীর্ঘদিনের বান্ধবী শশীকলার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল, তিনি দলের নির্বাচিত বিধায়কদের সমর্থন সুনিশ্চিত করতে তাঁদের একটি রিসর্টে বন্দী করে রেখেছেন। এদিকে ক্রমেই পন্নিরসেলভমের দিকে পাল্লা ভারী হচ্ছিল দলীয় বিধায়ক ও সাংসদদের। পন্নিরের সমর্থনে তাঁরই বাড়ির বাইরে সমর্থকদের অবস্থান রীতিমতো চোখে ধাঁধিয়ে দেয় রাজনৈতিক শিবিরের।
আর এই আবহেই সেরাজ্যের রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও দ্রুত কারওকে সরকার গড়ার আহ্বান জানাতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন স্থিতিশীল সরকার। মনে করা হচ্ছিল, তিনি নিজেও শীর্ষ আদালতের আজকের এই রায়ের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। তাই আজকের এই রায় যেমন পন্নিরসেলভমের মুখের হাসি চওড়া করবে, তেমনই সি বিদ্যাসাগর রাও-এর কাজটাকেও সহজ করে দেবে এবং প্রমাণ করছে যে রাজ্যপাল সঠিক অবস্থানই গ্রহণ করেছিলেন।