জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় তিন দিনের মধ্যে দু’বার গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে। দ্বিতীয়বার গ্রেফতারির পর ফের জামিন পেয়ে ট্যুইট করে সাকেত বলেছেন, বিজেপির ‘মারাত্মক ভুল’ করবে যদি তারা মনে করে যে বারবার গ্রেফতার করে আমার মনোবল ভেঙে দেবে। আমি আরও শক্ত হাতে বিজেপির খারাপ কাজের বিরোধিতা করব।'' শুক্রবার জামিনপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা বলেন যে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা হাস্যকর ছিল। কারণ তিনি অন্য কারও করা একটি টুইট "শেয়ার" করেছিলেন।" তিনি বলেন, ‘সেই ব্যক্তিকে, তা পুলিস জানে না।''
আরও পড়ুন, গ্রামের পর গ্রাম! মাছির জ্বালায় বিয়ে হচ্ছে না ছেলেদের, বউরা পালাচ্ছেন শ্বশুরবাড়ি থেকে...
I was arrested on orders of BJP, got bail, re-arrested, & got bail again - all in a span of 4 days. I’m grateful to the Hon’ble judiciary for upholding my liberty.
— Saket Gokhale (@SaketGokhale) December 10, 2022
BJP is hilariously mistaken if they thought this would break me.
I’m only going to come at them harder.
(1/8)
তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের গ্রেফতারির প্রতিবাদে কমিশনকে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানায় তৃণমূল। প্রসঙ্গত, মোরবি নিয়ে ট্যুইটের জেরে গ্রেফতার হন সাকেত। তৃণমূলের দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে সাকেতকে। তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর সমব্যথীদের ট্যুইটারে ধন্যবাদ জানালেন সাকেত গোখলে। সাকেত বলেন যে মোরবি ট্যুইটের জন্য তাকে তিন দিনে দু'বার গ্রেফতার করা হয়। অথচ ওরেভা কোম্পানির মালিক যারা 'খারাপ' এই সেতু নির্মাণ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে এখনও এফআইআর করা হয়নি। ট্যুইটে তিনি আরও লেখেন, ‘মোদী এই ট্যুইটের কারণে ব্যথিত। কিন্তু ১৩৫ জনের মৃত্যুতে নয়।''
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। রাজস্থানের জয়পুরে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিস। কেন? মোরবিতে সেতু বিপর্যয় নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন তিনি! ধৃতকে ২ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর বৃহস্পতিবার জামিনও পেয়ে যান সাকেত। কিন্তু সেদিন রাতেই ফের গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতাকে। দলের রাজ্য সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইট করেন,'জামিন পাওয়ার পরেও তৃণমূল নেতাকে হেনস্থা করেছে গুজরাত পুলিস। আমদাবাদ সাইবার থানা থেকে বেরোনোর সময়ে ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়েছে সাকেত গোখলেকে। অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে'।
দ্বিতীয়বার জামিনের পরই বিজেপিকে নিশানা করলেন গোখলে। তাঁর দাবি, তৃণমূলের মুখ বন্ধ করার জন্যই মোদী-শাহের নির্দেশেই গ্রেফতার করা হয়। উত্তরপ্রদেশে মোদী ও শাহের এ বিষয় পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে পড়ে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির দোসর, তাই রোড শো নিয়ে কোনও বক্তব্য থাকে না। পাল্টা ট্যুইটে অমিত মালব্য বলেন, ''আইনভাঙা তৃণমূল মুখপাত্রের অভ্যেস। আবেগপ্রবণ ইস্যু ব্যবহার করে বারবার অশান্তি পাকানো যাবে না। এ ক্ষমার অযোগ্য। আইন নিজের পদক্ষেপ নেবে।''
আরও পড়ুন, উড়ে এসে থানায় পড়ল গ্রেনেড, পাঞ্জাবের তরণতারণে পাক রকেট হানা!