অর্ণবাংশু নিয়োগী: আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের কড়া তোপে রাজ্য। ঘটনা ভয়ঙ্কর ও ন্যক্কারজনক। কীভাবে ছবি প্রকাশ্যে? কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা? তোপ প্রধান বিচারপতির। বৃহস্পতিবারে মধ্যে সিবিআইকে স্টেটাস রিপোর্ট জমার নির্দেশ। আরজিকর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নবাণে জর্জরিত রাজ্য। কেন পরিবারকে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করানো হল? কীভাবে শয়ে শয়ে মানুষ ঢুকে হাসপাতাল ভাঙচুর করল? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। অধ্যক্ষের ভূমিকাতেও ক্ষোভ।
আরও পড়ুন, Bharat Bandh: কতক্ষণ বনধ? কী কী খোলা থাকবে? দেশ জুড়ে চলবে বিক্ষোভ-হিংসা? রাস্তায় বেরনো যাবে তো!
দেশের সব হাসপাতালের নিরাপত্তায় বেনজির দাওয়াই সুপ্রিম কোর্টের। দশ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন। থাকবেন দশ চিকিত্সক। তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে টাস্ক ফোর্স। হাসপাতালের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টে। টাস্ক ফোর্সে থাকবেন ১০ চিকিত্সক। কোন কোন দিকে নজর দিতে হবে, তা নিয়েও দিকনির্দেশ করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। শীর্ষ আদালতে চলছে শুনানি। আরজি করের অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, আত্মহত্যা বলে ঘোষণা করা হল। নির্যাতিতার পরিবারকে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়েছে। আরজি করের ঘটনা ভয়ঙ্কর ও ন্যক্কারজনক। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য সিআইএসএফ মোয়াতেন করা হচ্ছে। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সিআইএসএফ মোতায়েনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র এটা এই রাজ্যের বিষয় নয়। গোটা দেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়। তাই আমরা হস্তক্ষেপ করেছি, জানায় শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ডাক্তার নিজের কলিগকে হারিয়েছেন। তার ওপর ডাক্তারদের উপর লাঠি হকিস্টিক নিয়ে হামলা চালানো হয়। কোন ইনফরমেশন ছিলো না পুলিসের কাছে। একটা রাজ্য প্রশাসনিক ব্যর্থতা। শান্তিপূর্ণভাবে যারা প্রতিবাদ দেখাবেন তাদের উপর কোনোভাবে জোর খাটানো যাবে না। ডাক্তার হোক, আইনজীবী হোক নাগরিক সমাজ হোক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ তারা দেখাতে পারেন।
ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সে থাকছে ১০ চিকিত্সক।
* নেশাগ্রস্ত কোন ব্যক্তিকে হাসপাতালে প্রবেশ আটকানো
* হাসপাতালে প্রপার নিরাপত্তা দেওয়া যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
* intern-সহ সমস্ত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
* রেস্টরুম এবং ডিউটি রুম আলাদা করতে হয়। পুরুষদের আলাদা মহিলাদের আলাদা। নার্সদের জন্য আলাদা করতে হবে। রেস্টুরুমে এবং ডিউটি রুমে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে।
* হাসপাতালে প্রবেশ এবং বাইরের পথে সিসিটিভি ক্যামেরা। করিডোর সিসিটিভি বসাতে হবে।
* সমস্ত জায়গায় আলো দিতে হবে।
* এমপ্লয়ি সেফটি কমিটি তৈরি করতে হবে।
* সব হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম যৌন নির্যাতন হারাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নির্দেশ মতো যে কমপ্লেন কমিটি গঠন করতে হবে।
* একটি হেল্প লাইন নাম্বার রাখতে হবে যেটা সর্বক্ষণ সচল থাকবে।
* ন্যাশনাল টাস্ক স্পোর্টস কে তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
* ২২ শে আগস্ট এর মধ্যে সিবিআইকে অন্তবর্তী রিপোর্ট দিতে হবে
* সবকটি রাজ্যকে এক মাসের মধ্যে ফলপ্রমা দিতে হবে। তাদের সমস্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কত নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে, কত সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, পুলিস আউটপোস্ট রয়েছে যাবতীয় বিষয়ে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে আগামী ২২ তারিখের মধ্যে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল ফোন করে বলেছেন তিনি আমাদের পাশে থাকবেন এবং বাড়িতে এসে দেখা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের রায় দিয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট।
আরও পড়ুন, Earthquake: জোড়া ভূমিকম্পে কাঁপল কাশ্মীর! ৭ মিনিটের ব্যবধান, কম্পন পাকিস্তানেও
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)