জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৪০ জন শহিদ হয়েছিলেন এ দিনে। ১৪ ফেব্রুয়ারি কি তা হলে প্রেমদিবস না, শহিদ দিবস? ২০১৯ সালের এই দিনে ভারতের কালো দিন-- ঘটেছিল পুলওয়ামা অ্যাটাক। দেখতে-দেখতে সেই ঘটনার ৪ বছর পূর্ণ হল। এদিন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিস ফোর্স বা সিআরপিএফ-এর গাড়িতে আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছিল। যার জেরে ৪০ জন্যের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার পরে সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল পোড়া শরীর, ধ্বস্ত ট্রাক, রক্ত, গাড়ির টুকরো, দেহাংশ। ফিরে তাকানো যায় না, এমন নৃশংসতার কঠিন ছবি। জইশ-ই-মহম্মদ ঘটনার পরেই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে এর দায় স্বীকার করেছিল। জানা গিয়েছিল, বছর বাইশের এক সুইসাইড বম্বার, যার নাম আদিল আহমেদ দার, বিস্ফোরক-ভরা ওই গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে পুলওয়ামা জেলায় ঢুকে পড়েছিল। সে ছিল কাশ্মীরের বাসিন্দা। ২০১৮ থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
আরও পড়ুন; স্বয়ং গান্ধীজিকে 'মিকি মাউস' বলে ডাকার সাহস দেখাতেন, কে এই মহিলা জানেন?
ঘটনার পরদিনই ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের তরফে এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়। যদিও পাকিস্তান সেই সব অভিযোগই অস্বীকার করেছিল। তবে পাকিস্তান যাই বলুক, বহু মিটিং ও আলোচনা করে ভারত পাকিস্তানের ওপর থেকে 'মোস্ট ফেভারড নেশন' (এমএফএন) তকমা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সারা ভারত সেদিন এই ভয়ংকর ঘটনায় চমকে উঠেছিল এবং শহিদের মৃত্যুতে দুঃখ করেছিল। তবে, ভারত এর দুদিনের মধ্যে এক মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জঙ্গিকে হত্যা করেছিল। এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
আরও পড়ুন; 'He Insulted Me Directly': সংসদে তাঁকে অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী, রাহুলের তোপ মোদীকে
তবে, পুলওয়ামার বদলা ভারত নিয়েছিল আরও ক'দিন পরে। ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় বায়ু সেনা পাকিস্তানের বালাকোটে এক জঙ্গিশিবিরে হানা দিয়েছিল। বহু জঙ্গি ভারতের এই আক্রমণে মারা গিয়েছিল। পাকিস্তানও চুপ করে বসে থাকেনি। তারাও পাল্টা হামলা চালিয়েছিল। এর জেরে মিগ-২১ ফাইটার জেট পাইলট অভিনন্দন বর্তমান এনকাউন্টারের সময়ে বিমান থেকে মাটিতে পড়ে পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়েছিলেন। পরে অবশ্য পাকিস্তান তাঁকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করে দেয়।
আজ দেশ জুড়ে নানা জায়গায় এই শহিদ স্মরণ করা হবে, করা হচ্ছেও। বহু জায়গায় শোক পালন করা হচ্ছে, শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। প্রতি বছরই টা করা হয়। সেই বীর সেনাদের স্মৃতিতে পুস্পার্ঘ্য প্রদান করা হয়। ভারতের ইতিহাসে দিনটির অন্যরকম গৌরব, অন্যরকম গুরুত্ব।