Home> দেশ
Advertisement

বানভাসি কেরলে সন্তানসম্ভবা মাকে উদ্ধার করে দেশকে ফের গর্বিত করল সেনা

টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরল। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ছুঁয়েছে সাড়ে তিনশো।

বানভাসি কেরলে সন্তানসম্ভবা মাকে উদ্ধার করে দেশকে ফের গর্বিত করল সেনা

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলে জলমগ্ন এলাকা থেকে সন্তানসম্ভবা মহিলাকে এয়ারলিফ্ট করে আরও একবার দেশকে গর্বিত করল ভারতীয় সেনা। হাসপাতালে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিলেন ওই মহিলা। 

টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরল। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ছুঁয়েছে সাড়ে তিনশো। বানভাসি কেরলে উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনাবাহিনী। বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে আটকে থাকা মানুষদের। হেলিকপ্টারে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আশ্রয় শিবিরে। কপ্টারে পৌঁছনো হচ্ছে ত্রাণ। এমনই একটি উদ্ধারকাজে সন্তানসম্ভবা মহিলাকে উদ্ধার করল সেনা। সেই ভিডিও ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নৌসেনা টুইট করে জানিয়েছে, সন্তানসম্ভবা মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জিবনীতে। মহিলাকে এয়ারলিফটের আগে নামানো হয়েছিল চিকিত্সক। তিনিই শারীরিক পরীক্ষা করেন। সফলভাবেই সন্তানসম্ভবা উদ্ধার করে সেনা।        
       

পরে সেনা টুইট করে জানায়, তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মহিলা ও সন্তান সুস্থ আছেন। 

 

কেরলে এখনও পর্যন্ত ৩২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তিন বাহিনীই উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে। আকাশপথে দুর্গতদের উদ্ধার করছে সেনা। দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে আরও হেলিকপ্টার চেয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন।জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ৭০০ দুর্গতকে উদ্ধার করা হয়েছে। জলে আটকে রয়েছে আরও ৬ হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই সেনার ১০ কলাম পাঠানো হয়েছে কেরলে। মোতায়েন করা হয়েছে ৭৯০জনের ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাক ফোর্স। নৌসেনার ৮২টি দল কাজ করছে। উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৪২টি দলকে।দেশের আবহওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৬ অগস্ট পর্যন্ত ৬১৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কেরলে। সাধারণত এই মরসুমে ২৪৪.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ফলে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে দ্বিগুণ বর্ষণ হয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। তবে আশার কথা, আগামী দুদিন খুব ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই। ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন- সঙ্কটকালে কেরলের পাশে এগিয়ে এল বাকি রাজ্যগুলি, মোদীকে ধন্যবাদ বিজয়নের

 

Read More