নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের সঙ্গে একমত নয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের নির্দেশিকার একেবারে উল্টো সুরে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, রাজনৈতিক দলগুলি তথ্য জানার অধিকার (রাইট টু ইনফর্মেশন) আইনের আওতার বাইরে।
আরও পড়ুন: যোগীর জমানায় এলাহাবাদ ফিরে পাচ্ছে পুরনো নাম?
সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় পাবলিক ইনফরম্যাশন অফিসারের নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করে পুণের বাসিন্দা আরটিআই মামলার মাধ্যমে, ইলেক্টরাল বন্ডের মাধ্যমে দেশের ৬ জাতীয় রাজনৈতিক দলের (কংগ্রেস, বিজেপি, বিএসপি, এনসিপি, সিপিআই ও সিপিএম) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। উত্তরে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্বাচন কমিশনের কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য নেই। এটি রাজনৈতিক দল সম্পর্কিত তথ্য এবং এটি তথ্য জানার অধিকারের আওতার বাইরে। আরও বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ইলেক্টরাল বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলি কত অনুদান পেয়েছে, তা তারা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে পারে।
আরও পড়ুন: দুনিয়ার প্রথম আদিবাসী নেতা হনুমান, দাবি বিজেপি বিধায়কের
২০১৩-এ জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলিকে আরটিআই (রাইট টু ইনফর্মেশন) আইনের আওতায় নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। সেই নির্দেশিকাকে যেমন উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি, তেমনই রাজনৈতিক দলগুলি কোনও আরটিআই আবেদনের জবাবও দেয়নি। এই কারণে, বহু আবেদনকারী দলগুলির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন। সেই এখন মামলাগুলি শীর্ষ আদালতের বিবেচনাধীন। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এ হেন বিবৃতি ঘিরে দেশের বিভিন্ন মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে।