নিজস্ব প্রতিবেদন: রাষ্ট্রসঙ্ঘে অভিযোগ জানিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারল না পাকিস্তান। কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বের দরবারে আবারও একঘরে পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘ পাকিস্তানকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল, জম্মু কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে দিল্লি ও ইসলামাবাদকেই আলোচনায় বসতে হবে।
প্রসঙ্গত, জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে দরবার করেন ইমরান খান। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে এমনই বার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্সি দেশ পোল্যান্ড।
জম্মু-কাশ্মীরে পালিত হচ্ছে ইদ! রয়েছে কড়া নজরদারিও
গত মঙ্গলবার সংবিধান মেনে ভারত অনুচ্ছেদ ৩৭০ রদের সিদ্ধান্ত নিলে, কার্যত ‘বিস্ফোরণ’ ঘটে ইসলামাবাদে। তড়িঘড়ি পাক সংসদের যৌথ অধিবেশন ডেকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক ঝাঁক কড়া পদক্ষেপ করেন পাশাপাশি অনবরত উস্কানিমূলক মন্তব্যও করতে দেখা যায়। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি দুই দেশের যানবাহন পরিষেবাও বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান।
গত ৮ অগস্ট সমঝোতা একপ্রেস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তারপরের দিনই জোধপুর থেকে করাচি গামী থর এক্সপ্রেস পরিষেবা বন্ধ করা হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘পাকিস্তান এক তরফাভাবে থর এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এনিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। পাকিস্তান যা করছে তাতে দুদেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হচ্ছে।’ সমঝোতা এক্সপ্রেসের পর এবার লাহোর ও দিল্লির মধ্যে চলাচলকারী ‘দোস্তি’ বাস পরিষেবা বাতিল করে পাকিস্তান। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাস চলাচল প্রথম চালু হয় ১৯৯৯ সালে। কিন্তু ২০০১ সালে সংসদ ভবনে হামলার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাস চলাচল ফের চালু হয় ২০০৩ সালে। কার্যত ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে।