Home> দেশ
Advertisement

এবারের বাজেটে কর ছাড়ের ঘোষণায় মধ্যবিত্তের মন জয়ের চেষ্টা হতে পারে : সূত্র

বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে যাতে ২০১৯-এর নির্বাচনে আরও ভাল ফল করা যায়, সেকথা মাথায় রেখেই মধ্যবিত্তর মন জয়ের চেষ্টা হতে পারে। কারও কারও মতে, কেন্দ্রীয় সরকার এবার স্বল্প মেয়াদী কর ব্যবস্থার পরিবর্তে দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে চাইছে।

এবারের বাজেটে কর ছাড়ের ঘোষণায় মধ্যবিত্তের মন জয়ের চেষ্টা হতে পারে : সূত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের আগে মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হতে চলেছে আগামী মাসে। তাই, পয়লা ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাজেট ভাষণে কর ছাড়ের ঘোষণায় মধ্যবিত্তর মন জয়ের চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আয়করে ছাড়ের উর্ধ্বসীমা বছরে আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়ান হতে পারে এই বাজেটে। ফিরে আসতে পারে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যবিমা এবং কর ছাড়ের সুবিধাযোগ্য মেয়াদি আমানতের ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষের জন্য থাকতে পারে বিশেষ সুখবর।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে যাতে ২০১৯-এর নির্বাচনে আরও ভাল ফল করা যায়, সেকথা মাথায় রেখেই মধ্যবিত্তর মন জয়ের চেষ্টা হতে পারে। কারও কারও মতে, কেন্দ্রীয় সরকার এবার স্বল্প মেয়াদী কর ব্যবস্থার পরিবর্তে দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে চাইছে।

আরও পড়ুন- পয়লা ফেব্রুয়ারি পেশ করা হবে মোদী সরকারের শেষ বাজেট

বর্তমানে ভারতে বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এবার সেই ছাড়ের উর্ধ্বসীমা বছরে আড়াই লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই হবে মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। পাশাপাশি জিএসটি পরবর্তী ভারতে এটাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ২৯ জানুয়ারি থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। প্রথম পর্যায়ে ২৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে অধিবেশন। এরপর, ৫ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় দফার অধিবেশন। ২০১৭-১৮-র অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করা হবে ৩১ জানুয়ারি।

বিশ্লেষকদের মতে, জিএসটি পরবর্তী ভারতে অর্থনৈতিক সমীক্ষা বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ হতে চলেছে। বৃদ্ধির হার ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Read More