জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টিসংক্রান্ত দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৪! মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। স্বাধীনতা দিবসের সকালে লাল কেল্লা থেকে পাহাড়ি রাজ্যগুলির পরিস্থিতিকে তিনি অকল্পনীয় সঙ্কট বলে উল্লেখ করলেন। যাঁরা এই দুর্যোগে তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার থেকে হিমাচলে শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য। উত্তরাখণ্ডেও প্রাকৃতিক বিপর্যয় তিন জনের প্রাণ গিয়েছে। নিখোঁজ অন্তত ১০ জন। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগকবলিত রাজ্যে স্বাধীনতা দিবসের উদ্যাপন ম্লান হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। হিমাচলের প্রশাসনও জানিয়ে দিয়েছে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজ্যের কোথাও কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না। সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসের কারণে ব্যাহত জনজীবন। একাধিক রাস্তা, জাতীয় সড়ক ধসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগব্যবস্থা। সিমলার বিস্তীর্ণ অংশে রবিবার থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত। স্কুল-কলেজ বন্ধ গোটা রাজ্যে।
রবিবার রাতে সোলান জেলার একটি গ্রামে আচমকা মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। হড়পা বানে ভেসে যায় গ্রামের একাংশ। মোট মৃতের সংখ্যা ১১। সোমবার সকালেই ঘটে আরও এক বিপর্যয়। শ্রাবণ মাসের সোমবার উপলক্ষে শিবের পুজোর জন্য মন্দিরে গিয়েছিলেন ভক্তেরা। আচমকা মন্দির ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় অন্তত ১৫ জনের। এখনও মন্দিরের ধ্বংসস্তূপের নীচে কিছু দেহ চাপা পড়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Independence Day 2023: এ বছর কত তম স্বাধীনতা দিবস-- ৭৬, নাকি ৭৭? মিটছে না সংশয়...
হিমাচলের কপালে যে আরও দুঃখ আছে, প্রকারান্তরে তা জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতরও। তারা বলেছে, হিমাচল প্রদেশের ১২টি জেলার মধ্যে নটি জেলাতেই অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি চলবে ১৭ অগস্ট পর্যন্ত।