নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার সকালে প্রকাশিত হচ্ছে নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা। এনিয়ে এখন থমথমে অসম।
শনিবার থেকেই ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে ওই তালিকা। যাদের কাছে ইন্টারনেটের সুবিধা নেই তারা তালিকা দেখতে পাবেন সরকারি ‘সেবা কেন্দ্র’-এ। তালিকা পাওয়া যাবে www.nrcassam.nic.in অথবা www.assam.mygov.in ওয়েবসাইট থেকে।
আরও পড়ুন-বিজেপিতে যোগের পরই আক্রান্ত বনগাঁর বিধায়ক, গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, বাঁশ দিয়ে হামলা
তালিকা প্রকাশের পর রাজ্যে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও অবণতি না ঘটে তার জন্য গত ২৩ অগাস্টই ডেপুটি কমিশনার ও পুলিস সুপারদের বৈঠকে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
কাশ্মীর নিয়ে এমনিতেই চাপে কেন্দ্র। এর মধ্যেই নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৪০ লাখেরও বেশ মানুষ। এই অবস্থায় তা প্রকাশিত হলে কোনও গোলমালের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, যাদের নামে নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকায় নেই তাদের এখনই বিদেশি বলে ঘোষণা করা হবে না। এনিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেই তালিকা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। যাদের নাম নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়বে তারা ফরেনার্স ট্রাইবুন্যালে আবেদন করতে পারবেন। এনিয়ে আবেদন করা যাবে ১২০ দিনের মধ্যে।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে অসমে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে ২০,০০০ আধাসেনা। অসমের গুয়াহাটি ছাড়াও সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যাদের নাম তালিকায় নেই তাদের নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও গুজবে কান দেবেন না। দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিই শেষ কথা। খোদ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাদের নাম তালিকায় থাকবে না তারা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করার অনেক সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন-লাহোরে শিখ তরুণীকে অপহরণ করে ধর্মান্তরকরণ, মেয়েকে ফিরে পেতে ইমরানের দ্বারস্থ পরিবার
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, তালিকা থেকে বাদ পড়া মানুষজনের অভিযোগ শুনতে গঠন করা হবে ১০০০ ট্রাইবুন্যাল। অবশ্য ইতিমধ্যেই ১০০ ট্রাইবুন্যাল কাজ শুরু করে দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আরও ২০০ ট্রাইবুন্যাল কাজ শুরু করে দেবে। কেউ ট্রাইবুন্যালে হেরে গেলে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন। কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে না।
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ অসমে ঢুকে পড়েছেন এবং তাদের অধিকাংশই মুসলিম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ পড়েছেন বহু হিন্দু। এটাই এখন ভাবাচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে। এখন এইসব বিদেশিদের যদি বাদ দেওয়া হয় তা হলে তা বিপাকে ফেলবে বিজেপিকে।