Home> দেশ
Advertisement

বরফের খাড়াই রাস্তায় কাশ্মীরি পণ্ডিতের শবদেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটলেন মুসলিম প্রতিবেশীরা

কঠিন পরিস্থিতিতে পণ্ডিত পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন মুসলিম প্রতিবেশীরা। 

বরফের খাড়াই রাস্তায় কাশ্মীরি পণ্ডিতের শবদেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটলেন মুসলিম প্রতিবেশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: মানবধর্ম সবচেয়ে বড় ধর্ম। তারই প্রমাণ দিল সাম্প্রতিক কালের এই ঘটনা। তুষারপাতে সাদা হয়ে গিয়েছে কাশ্মীর। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নিম্নমুখী। বরফের রাস্তায় হাঁটতে গেলে পা ঢুকে যাচ্ছে, এক কোমড় বরফ ডিঙিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। কুয়াশার চাদরে দেখা যাচ্ছে না চারিদিক। এই কঠিন পরিস্থিতিতে পণ্ডিত পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন মুসলিম প্রতিবেশীরা। 

কাশ্মীরি পণ্ডিতের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন মুসনিম প্রতিবেশীরা। এমনকি সৎকারের কাজেও হাত লাগায়। কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে কুর্ণিশ দেশ জুড়ে। 

আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্টে ভুগছেন Lalu, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লি AIIMS-এ

কাশ্মীরি পন্ডিত ভাস্কর নাথ হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা যায়, কিডনি ফেল করেই মৃত্যু ওই ব্যক্তির। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬০। কিন্তু ভারী তুষারপাতের কারণ রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়। শ্রীনগর থেকে পারগোচি যাওয়ার পথে আটকে যায়। সেই সময় গাড়ির চালক বাড়িতে ফোন করে জানায় , গাড়ি আর এগোবে না।  পন্ডিতে শবদেহ যথাস্থানে নিয়ে যেতে মানুষের কাঁধ লাগবে। 

আরও পড়ুন: বিজ্ঞানবিষয়ক প্রকাশনায় বিশ্বে তৃতীয় ভারত
 

সেই সময় মুসলিম প্রতিবেশীরাই এগিয়ে আসেন। এই ঘটনা দেশ জুড়ে এক অনাবিল তৃপ্তি জোগাচ্ছে। কারণ,   নয়ের দশকে কাশ্মীর ভূখণ্ড থেকে কয়েক লক্ষ কাশ্মীরি পণ্ডিতকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। চলত ধর্ষণ, গণহত্যার মতো ঘটনা। ৬ লক্ষ থেকে কাশ্মীরে পণ্ডিতে জনসংখ্যা কমতে কমতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজারে। সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছে এই গোটা ঘটনা।  

Read More