জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিরোনাম পড়ে নিশ্চয়ই মাথা বনবন করছে। তবুও সুকুমার রায়কে ধার করে বলতেই হবে, 'ভ্যাবাচ্যাকা খেও নাকো, যেয়ো নাকো ভড়কে'! মুম্বইয়ের এক বাসিন্দা চলতি বছরে মোট ৪২.৩ লক্ষ টাকার খাবার সুইগি (Swiggy) থেকে অর্ডার দিয়ে আনিয়েছেন! জনপ্রিয় ফুড-ডেলিভারি অ্যাপ 'হাউ ইন্ডিয়া সুইগি'ড' (How India Swiggy’d)-এ এই রিপোর্ট দিয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে যে, ভারতীয়রা কোন খাবার সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। অর্ডারে কোন খাবার রাজ করেছে। বলাই বাহুল্য় মগডালেই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার বিরিয়ানি (Biryani)। তবে প্রথম দিকেই রয়েছে কেক, গোলাপজাম ও পিৎজাও (Cakes, Gulabjamun, Pizzas)।
আরও পড়ুন: Ram Mandir | Ram Temple: অযোধ্যার রামমন্দিরের জন্য ভগবান রামের মূর্তি গড়ছেন বাংলার মুসলিম শিল্পী...
ভারতীয়রা যে বিরিয়ানি প্রেমে হাবুডাবু খান, সেকথা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। আকাশের তারা ও দেশের বিরিয়ানির দোকানের সংখ্য়া গুনে শেষ করা সম্ভব নয়। তবে রিপোর্টে বিস্ময়কর উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে সারা বছর সেকেন্ড পিছু বিরিয়ানির সার্ভিং অর্ডারের হার ২.৫! বিরিয়ানি ধারাবাহিকভাবে সুইগির তালিকায় শীর্ষস্থানেই বিরাজমান। ২০২৩ সালও তার ব্যতিক্রম নয়। এই নিয়ে টানা অষ্টমবার বিরিয়ানির মাথায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। এই প্রসঙ্গে সুইগি আরও একটি চমকে দেওয়া তথ্য দিয়েছে। হায়দরাবাদের এক খাদ্য়প্রেমী এ বছর মোট ১৬৩৩ বিরিয়ানির অর্ডার দিয়েছেন। দিনের হিসেবে গড়ে চার প্লেট! অভাবনীয় বললেও কম।
চিকেন বিরিয়ানিই মানুষের কাছে হট ফেভারিট। ভেজ বিরিয়ানির সঙ্গে যদি চিকেন বিরিয়ানির অর্ডারের তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে। চিকেন যেখানে ৫.৫। সেখানে ভেজ ১! বিশ্বকাপে হাইভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে, শুধু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামই ফোটেনি। বিরিয়ানির জন্য়ও উন্মাদনা চরমে ছিল। সেই সময়ে চণ্ডীগড়ের এক পরিবার একবারে ৭০ প্লেট বিরিয়ানি অর্ডার দিয়েছিল। ভাবুন একবার। রোহিত শর্মা-বাবর আজমদের ডুয়েলেও বিরিয়ানির দাদাগিরি ছিলি অব্য়াহত।
বাকি বিজেতাদের কথাও হোক একটু...
এক ঝাঁসি নিবাসী এক দিনে ২৬৯টি আইটেমের অর্ডার দিয়ে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন। ভুবনেশ্বরের এক বাড়িতে একদিনে ২০৭টি চিজ পিৎজার অর্ডার দিয়েছিল। ৮.৫ মিলিয়ন চকোলেট কেকের অর্ডার হয়েছে বেঙ্গালুরু থেকে। দেশের 'কেক ক্যাপিটাল' তকমা জুটেছে তাদের। গোটা দেশ ভ্যালেন্টাইন'স ডে-র দিন কেক নিয়ে পাগলামি করেছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতি মিনিটে সুইগি ২৭১টি করে কেকের অর্ডার পেয়েছিল। ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে উদযাপন করা হয়েছে। তার প্রমাণও পেয়েছে সুইগি! গিল্টফ্রির মতো প্ল্যাটফর্মে বাজরা-ভিত্তিক খাবারের অর্ডারে উল্লেখযোগ্য ভাবে ১২৪ শতাংশ বেড়েছে। স্বাস্থ্য-সচেতন প্রবণতা থেকেই বাজরা-কেন্দ্রিক খাবারের জন্য মানুষের খোঁজখবর নেওয়াও বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। হায়দরাবাদ ইডলির প্রতি ভালোবাসাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। এক ইডলি নিবেদিত গ্রাহক এই বিখ্য়াত দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের জন্য একচেটিয়া ভাবে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। ভারতের মানুষ জাপানি অ্যানিমের তুলনায় বেশি ভালোবেসেছেন কে-পপকে। খাবারের চাহিদাতেও তার প্রভাব পড়েছে। জাপানি কুইজিনের তুলনায় কোরিয়ান কুইজিন দু'গুণ বেশি অর্ডার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Indore: 'এখন ইচ্ছে করছে না', সেক্সে নারাজ লিভ-ইন সঙ্গিনীকে মেরেই ফেলল...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)