নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রাক্তন সাংবাদিক এমজে আকবর। একের পর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছিলেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। তবে, সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তিনি। আকবর পাল্টা অভিযোগ করেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
আকবরের বিরুদ্ধে ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে যৌন হেনস্থার তালিকা। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জন মহিলা সাংবাদিক তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। । এঁরা হলেন প্রিয়া রামানি, কণিকা গেহলোত, মাজলি ডি পুই কাম্প, রুথ ডেভিড, কাদম্বরী এম ওয়াড়ে, সুতাপা পাল, অঞ্জু ভারতী, গাজালা ওয়াহাব, প্রেরণা সিং বিন্দ্রা, সুমা রাহা, সুপর্ণা শর্মা, সাবা নাকভি, তুষিতা প্যাটেল এবং মালিনি ভুপতা। আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই বিপাকে পড়ে বিজেপি সরকার। অন্দরেও সমানভাবে চাপ তৈরি হয় বলে সূত্রের খবর। আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
আরও পড়ুন- সবরীমালা মন্দিরে মহিলারা ঢুকবে না, সুপ্রিম রায় অবজ্ঞা করে হুঙ্কার বিক্ষোভকারীদের
গত রবিবার নাইজেরিয়া থেকে দেশে ফেরার পরই তড়িঘড়ি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করেন এম জে আকবর। এরপর এক বিবৃতি দিয়ে আকবর জানান, কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি তোলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের। এমজে আকবরের পদত্যাগের জল্পনা জোরালো হলেও সে সময় এ বিষয়ে নিয়ে কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি বিজেপির তরফে। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে আরও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘৫ রাজ্যে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের আগেই কেন এই ধরনের অভিযোগ উঠল? এর পেছনে কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এই ভিত্তিহীন অভিযোগের ফলে আমার ভাবমূর্তির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। মিথ্যের হাত-পা থাকে না। তবে তার মধ্যে বিষ থাকে। আমি এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
আরও পড়ুন- আমি দেশদ্রোহী নই, সার্টিফিকেট দেখিয়ে ভর্তি হতে হবে কাশ্মীরি ছাত্রদের, নির্দেশ কংগ্রেসি সরকারের
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকজন মহিলা প্রাক্তন সাংবাদিক ও সম্পাদক এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। প্রথন অভিযোগটি করেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। ভোগ ইন্ডিয়া-য় তাঁর লেখা একটি নিবন্ধে রামানি ওই অভিযোগ করেন। পরে তিনি আকবরের নাম প্রকাশ করেন। এরপর সুতপা পাল নামে আরও এক সাংবাদিক ওই একই অভিযোগ করেন। এক ইন্টারভিউয়ের সময় তাঁকে আকবর যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা সাংবাদিক। একইরকম অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সাংবাদিক সাবা নাকভি ও লেখিকা গাজালা ওয়াহাব।