নিজস্ব প্রতিবেদন: পকেটমার ফোন নিয়ে পালাচ্ছে। তাকে ধরতে চলন্ত ট্রেন থেকে স্টেশনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বছর ৫৩-এর শাকিল আব্দুল গফর শেখ। টাল সামলাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন ট্রেনের চাকার তলায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারালেন।
আরও পড়ুন- পার্লামেন্টে কর্নাটক ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ, এই প্রথম কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে স্লোগান দিলেন রাহুল
ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের চারনি রোড স্টেশনের। সহকর্মীদের সঙ্গে ট্রেনে চড়ে চার্চগেট যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি গোড়েগাঁওতে। সহকর্মীদের দাবি, এ দিন চারনি রোড স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে হঠাৎই ট্রেনে লাফ দিয়ে ওঠে অভিযুক্ত পকেটমার। তার পর আব্দুলের হাত থেকে ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে যায় সে। তার পিছন পিছন ট্রেন থেকে প্ল্য়াটফর্মে লাফ দিতে যায় আব্দুল। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই এগিয়ে গেছে ট্রেন। প্ল্যাটফর্মে পা দিলেও ট্রেনের দরজার হাতল ছাড়তে পারেননি তিনি। প্ল্যাটফর্মও ততক্ষণে শেষ হয়ে যায়। হুমড়ি খেয়ে বেশ খানিকটা নিচে রেললাইনের উপর পড়েন। রেলের চাকার তলায় পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনাই ধরা পড়েছে চারনি রোড স্টেশনের সিসিটিভি-তে।
আরও পড়ুন- আগে ১৮ হাজার কোটি টাকা বন্ধক রাখুন, তারপর বিদেশ যান, জেট মামলায় নরেশকে নির্দেশ হাইকোর্টের
রেল পুলিস জানায়, যে পকেটমারের জন্য় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, তার খোঁজ চালানো হচ্ছে। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অভিযুক্তের একাধিক ছবি পেয়েছে পুলিস।
মুম্বাইয়ের এক পাঁচ তারা হোটেলে গাড়ি চালকের কাজ করত আব্দুল। তাঁর মৃত্যুতে দুই ছেলে ও স্ত্রী শোকে ভেঙে পড়েছেন। ঘটনার আকস্মিকতাও হতবাক আব্দুলের সহকর্মীরাও।