Home> দেশ
Advertisement

সন্তানদের সঙ্গে আতসবাজি পোড়ানোয় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিস

কী পরিমাণ রাসায়নিক থাকলে বাজি পরিবেশবান্ধব হবে, এনিয়ে কোনও নির্দেশিকা না থাকায় ধন্ধে পড়েছে এফএসএল। 

সন্তানদের সঙ্গে আতসবাজি পোড়ানোয় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিস

নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে দীপাবলির আগেই সন্তানদের নিয়ে আতসবাজি ফাটাচ্ছিলেন। প্রতিবেশীর অভিযোগের ভিত্তিতে দমনদীপ নামে ওই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেল পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে গাজিপুরে। 

দীপাবলিতে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে দিল্লিতে শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব আতসবাজিই পোড়ানো যাবে। সেই নির্দেশ অমান্য করেই বাড়ির বাইরে আতসবাজি জ্বালানোর অভিযোগ উঠেছে দমনদীপের বিরুদ্ধে। পড়শি দীন বন্ধু পুলিসে অভিযোগ করেন, দমনদীপের সন্তানরা আতসবাজি জ্বালাচ্ছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন দমনদীপ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় দমনদীপকে গ্রেফতার করে পুলিস। 

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বাজি পরিবেশবান্ধব কিনা, তা কীভাবে সনাক্ত করবে পুলিস? ডিসিপির পঙ্কজ সিংয়ের কথায়, ''সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছেন অভিযুক্ত। একবছরের পুরনো আতসবাজি জ্বালাচ্ছিলেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা আতসবাজি। সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে''। 

তবে কী পরিমাণ রাসায়নিক থাকলে বাজি পরিবেশবান্ধব হবে, এনিয়ে কোনও নির্দেশিকা না থাকায় ধন্ধে পড়েছে এফএসএল। তাদের বক্তব্য, দিল্লি পুলিস প্রমাণ দিলে তা পাঠানো হবে রাসায়নিক বিভাগে। তারাই পরীক্ষা করে দেখবে। কিন্তু পরিবেশবান্ধব বাজির সংজ্ঞা না থাকায় গোটা বিষয়টি অস্পষ্ট। 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি একে সিকরি রায়দানে বলেছিলেন, ''এমন অনেক রাসায়নিক রয়েছে, যেগুলি ততটা ক্ষতিকারক নয়। এই ধরনের গ্রিন ক্র্যাকার্স ব্যবহার করা যাবে''। 

আরও পড়ুন- পাঁচ হাজার বছরের প্রাচীন প্রদীপ, কেন পঞ্চতত্বের প্রতীক?

Read More