Home> দেশ
Advertisement

একসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা ভোটের পক্ষে সুপারিশ আইন কমিশনের

আইন কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঘনঘন নির্বাচনে জেরে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভোটপ্রক্রিয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে। তাতে অবহেলিত হয় উন্নয়ন।

একসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা ভোটের পক্ষে সুপারিশ আইন কমিশনের

নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ও সবকটি রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন একসঙ্গে করার পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর যুক্তি, এতে সময় ও অর্থ বাঁচবে। উন্নয়নের কাজ থমকে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর মতকেই প্রাধান্য দিয়ে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করল আইন কমিশন। তাদের সুপারিশ, একসঙ্গে সব ভোট করাতে হলে সংবিধান ও নির্বাচনী আইনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হোক। এতে ঘনঘন নির্বাচনের হাত থেকে মুক্তি পাবে দেশ। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুরেই আইন কমিশনের খসড়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, একসঙ্গে নির্বাচন হলে সাধারণের করের টাকা বাঁচবে। লাঘব হবে প্রশাসনিক বোঝাও। ভোটের নিরাপত্তার জন্য বাহিনীও কম লাগবে। এর পাশাপাশি নিশ্চিত হবে সরকারি নীতির সফল রূপায়ন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঘনঘন নির্বাচনে জেরে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভোটপ্রক্রিয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে। তাতে অবহেলিত হয় উন্নয়ন। যদিও আইন কমিশন সতর্কবার্তাও দিয়েছে। তাদের মতে, বর্তমান ব্যবস্থায় একসঙ্গে নির্বাচনের মতো পরিকাঠামো দেশে নেই। 

একসঙ্গে ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের মত জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অতিসম্প্রতি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াত জানান,''কোনও সম্ভাবনাই নেই। এরজন্য আইনি রক্ষাকবজের প্রয়োজন।'' তিনি আরও বলেছিলেন, এক দেশ, একসঙ্গে নির্বাচনের ব্যপারে ২০১৫ সালেই কমিশন তার পরামর্শ সরকারের কাছে পঠিয়েছে। ‌যানবাহনের অসুবিধা ও ভিভিপ্যাডের অভাব একইসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। তবে ‌যে কোনও বিধানসভা মেয়াদ শেষ হলেই ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে।

প্রসঙ্গত, এবছর বিধানসভা নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগঢ়, রাজস্থান ও মিজোরামে। জল্পনা ছিল সরকার সেই নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই তা করাতে চায়। রাওয়াত বলেন, একসঙ্গে নির্বাচন করাতে গেলে আইনি রক্ষাকবজ তৈরি করতে কমপক্ষে ১ বছর সময় লাগবে। 

আরও পড়ুন- 

Read More