নিজস্ব প্রতিবেদন: এ যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতার শেষ সীমা অতিক্রান্ত একুশ শতকে। যে সঙ্গিনীকে ভালবেসে একসঙ্গে পথ চলার স্বপ্ন দেখেছিলেন যুবক, সে স্বপ্ন তো চুরমার হলই, আগুন গ্রাসে ভস্ম হলেন সঙ্গী। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ফরিদাবাদে। নিজের লিভ-ইন পার্টনারকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার অপরাধে ওই মহিলাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই যুবক অক্টোবরের ১৬ তারিখ থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। বল্লবগড় পুলিস স্টেশনে ওই যুবকের নামে একটি মিসিং ডায়রি করেন তার ভাই। সেখানে বলা হয় যে ১৬ অক্টোবর সকালে কাজে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি তার দাদা। সেই নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয় যে ওই যুবকের এক বান্ধবী নাকি জানান যে সেদিন তার বাড়িতে গিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু ল্যাপটপ আর গাড়ি সেই বাড়িতে রেখেই কোথায় চলে যান।
পুলিস মিসিং ডায়রির অভিযোগ গ্রহণ করলেও খটকা লাগে অফিসারের৷ এরপরদিনই ওই এলাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরে এক নির্জন স্থানে একটি আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে ওই যুবক একজন নাইজেরিয়ান। এরপরই এলাকার বেশ কয়েকজন নাইজেরিয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। জানা যায় মৃতের আসল পরিচয়।
আরও পড়ুন, Goa: তৃণমূলে লিয়েন্ডার, গোয়ায় নতুন সকালের খোঁজে মমতা
ফরিদাবাদ পুলিসের মুখপাত্র সুবে সিংহ এর কথায়, "তদন্তে জানা গিয়েছে ১৬ অক্টোবর লিভ ইন পার্টনার ওই যুবককে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান সঙ্গিনী। এরপর অচৈতন্য যুবককে অটোয় করে নিয়ে যাওয়া নির্জন এলাকায়। সেখানে তাকে প্রথমে পেট্রলে স্নান করানো হয়। এরপর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷" পুলিস জানায় ২০১৯ থেকে মহিলার সঙ্গে লিভ ইন করছিলেন যুবা।
এও জানা যায় অভিযুক্ত মহিলার আগের পক্ষের একটি মেয়ে রয়েছে। পুলিসকে অভিযুক্ত জানায় যে সম্প্রতি ওই যুবক নাকি তার মেয়ের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করছিল। ঝগড়াঝাঁটিও চলত কিশোরী মেয়ের সঙ্গে। এই নিয়ে যুবকের সঙ্গে বচসাও হয় মহিলার। পুলিসের কাছে মহিলা স্বীকার করেন যে তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে যুবককে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।