Home> দেশ
Advertisement

আলিগড়ে হিন্দু ধর্মে গণ ধর্মান্তকরণের পক্ষে জোর সওয়াল বিজেপি সাংসদের

হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তকরণের পদক্ষেপ সরতে নারাজ আরএসএস। উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি সরকার ইতিমধ্যেই আগামী ২৫ ডিসেম্বর আলিগড়ে আরএসএস-এর ধর্ম জাগরণ মঞ্চের হিন্দু ধর্মে গণ ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ যোগো আদ্যিনাথ ফের ধর্মান্তকরণের পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন। গোরখপুরের এই বিজেপি সাংসদ রবিবার সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছেন যদি কোনও ব্যক্তি স্বইচ্ছায় হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে চায়, তাতে কোনও অন্যায় নেই। তাঁর নিজের ভাষায় ''কোনও হিন্দু যদি অতীতে কোনও কারণ বসত ধর্মান্তরির হতে পারেন তাহলে 'ঘর ওয়াপাসি'-কেও অনুমতি দিতে হবে।''

আলিগড়ে হিন্দু ধর্মে গণ ধর্মান্তকরণের পক্ষে জোর সওয়াল বিজেপি সাংসদের

লখনউ: হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তকরণের পদক্ষেপ সরতে নারাজ আরএসএস। উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি সরকার ইতিমধ্যেই আগামী ২৫ ডিসেম্বর আলিগড়ে আরএসএস-এর ধর্ম জাগরণ মঞ্চের হিন্দু ধর্মে গণ ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ যোগো আদ্যিনাথ ফের ধর্মান্তকরণের পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন। গোরখপুরের এই বিজেপি সাংসদ রবিবার সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছেন যদি কোনও ব্যক্তি স্বইচ্ছায় হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে চায়, তাতে কোনও অন্যায় নেই। তাঁর নিজের ভাষায় ''কোনও হিন্দু যদি অতীতে কোনও কারণ বসত ধর্মান্তরির হতে পারেন তাহলে 'ঘর ওয়াপাসি'-কেও অনুমতি দিতে হবে।''

বৈশালি জেলায় এক অনুষ্ঠানে আদ্যিনাথ জোরের সঙ্গে জানান '' স্বাধীনতার আগে ও পড়ে ভয় দেখিয়ে, লোভ দেখিয়ে বহু হিন্দুকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। এখন যদি তাঁরা ঘরে ফিরতে চান, তাতে অন্যায়টা কোথায়?''

তাঁর দাবি ভণ্ড ধর্মনিরপেক্ষতার নামে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তকরণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছেন এখন যাঁরা এই ধর্মান্তকরণে বাধা দিচ্ছেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে হিন্দুরা যখন অন্য ধর্ম গ্রহণ করে তখন তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন।

যদিও, আদ্যিনাথের দাবি জোর করে ধর্মান্তকরণের বিরোধী তিনি।

উত্তর প্রদেশ পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে কোনও পরিস্থিতিতেই এই গণ-ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না।

ধর্ম জাগরণ মঞ্চের এই তথাকথিত 'ঘর ওয়াপসি' অনুষ্ঠানের সঙ্গে ভীষণ ভাবে আইন শৃঙ্খলা জড়িয়ে আছে এই বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রমাণ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই নেই বলে জানানো হয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিস সূত্রে।

আলিগড় জেলা প্রশাসন গত সপ্তাহেই একটি সতর্কতা মূলক বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষ যেন তাঁদের পাতা ফাঁদে পা না দেন।

শুক্রবার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন ''আইন অনুযায়ী যে কেউ নিজের ইচ্ছানুসারে ধর্ম পরিবর্তন করতেই পারেন। কিন্তু এই আইনের অপব্যবহার করে কেউ বা কারা যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের চেষ্টা করে তাহলে কিছুতেই তা হতে দেওয়া যাবে না''

 

Read More