ওয়েব ডেস্ক: অন্যের জনধন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে যাঁরা কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করছেন তাঁরা সাবধান। জনধনে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। ধরা পড়লে টাকা বাজেয়াপ্তই শুধু নয়, সাত বছর জেলের ঘানি টানতে হতে পারে।
ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন। সকলের জন্য ব্যাঙ্ক। আর এই লক্ষ্যেই নরেন্দ্র মোদীর ব্রেন চাইল্ড জনধন অ্যাকাউন্ট। বাস্তবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর কালো টাকা সাদা করতে গোটা দেশে
এই জনধন অ্যাকাউন্টগুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত দেশে জিরো ব্যালান্স জনধন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় ২৪ কোটি। এই অ্যাকাউন্টে বছরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করা যায়। নোট বাতিলের পর দেখা যাচ্ছে বহু জনধন অ্যাকাউন্টে ৪৯ হাজার টাকা জমা পড়ছে।
৯ নভেম্বরের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সারা দেশে জনধন অ্যাকাউন্টে সব মিলিয়ে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছে। মূলত দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা মানুষকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিতে জনধন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়। আয়কর দফতর মনে করছে কালো টাকার কারবারিরা টাকা সাদা করতে গরিব মানুষের জনধন অ্যাকাউন্টে
৪৯ হাজার টাকা করে জমা দিচ্ছে।
এ রাজ্যে জনধন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২ কোটি ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৬৮। নয়ই নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে জনধন অ্যাকাউন্টে জমা টাকার পরিমাণ ৬ হাজার দুশো ছিয়াশি কোটি টাকা। গড়ে প্রতি অ্যাকাউন্টে জমা টাকার অঙ্ক আড়াই হাজার। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, নয়ই নভেম্বরের পর থেকে এ রাজ্যের জনধন অ্যাকাউন্টে গড় জমার পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। নোট বাতিলের পর এ রাজ্যে জনধন অ্যাকাউন্টে সবচেয়ে বেশি টাকা জমা পড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক।
যে সব কালো টাকার মালিক অন্যের জনধন অ্যাকাউন্টে বেনামে টাকা জমা করছেন, তাঁরা সাবধান। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। এ ক্ষেত্রে কর কর্তাদের হাতিয়ার পয়লা নভেম্বর থেকে চালু হওয়া বেনামি সম্পত্তি লেনদেন আইন।
নতুন আইনে সম্পত্তি বলতে নগদ টাকা, সোনা-সহ স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তিকেই বোঝানো হয়েছে। অন্যের জনধন অ্যাকাউন্টে যাঁরা বেনামে কালো টাকা রাখছেন, নতুন আইন অনুযায়ী তাঁদের টাকা বাজেয়াপ্ত হতে পারে। হতে পারে ৭ বছর পর্যন্ত জেল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা অন্যকে নিজের জনধন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দিচ্ছেন তাঁরাও সাবধান। কারণ, অ্যাকাউন্টে বাড়তি টাকা জমা থাকলে ভবিষ্যতে BPL-এর সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন তাঁরা।