Home> দেশ
Advertisement

রাজকোটে বিজেপি রাজ, গড় রক্ষা রূপানির

সৌরাষ্ট্রের রাজকোট জেলা বিজেপির কাছে ‘নিরাপদ’ বলে পরিচিত। যার মধ্যে রাজকোট পশ্চিম ১৯৮৫ থেকে বিজেপির দখলে রয়েছে। এই আসনটি শুধুমাত্র যে বিজেপির পকেটে রয়েছে তা নয়, ২০০২ সালে এখান থেকেই জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী।

রাজকোটে বিজেপি রাজ, গড় রক্ষা রূপানির

নিজস্ব প্রতিবেদন: সকাল সকাল ধাক্কা খেয়ে উলোটপালট হয়ে গিয়েছিল সব হিসেব। তবে, সময় যত গড়িয়েছে ইভিএমের ইঙ্গিতও বদলেছে। এই মুহূর্তে এক বুক অক্সিজেন নিয়ে নিজের গড় ধরে রাখার পথ প্রায় পাকা করে ফেলেছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। পশ্চিম রাজকোট থেকে দাঁড়িয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কংগ্রেসের ইন্দ্রনীল রাজগুরুকে ২৫ হাজার বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জিতলেন তিনি।

সৌরাষ্ট্রের রাজকোট জেলা বিজেপির কাছে ‘নিরাপদ’ বলে পরিচিত। যার মধ্যে রাজকোট পশ্চিম ১৯৮৫ থেকে বিজেপির দখলে রয়েছে। এই আসনটি শুধুমাত্র যে বিজেপির পকেটে রয়েছে তা নয়, ২০০২ সালে এখান থেকেই জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী। আবার এই আসন থেকেই জিতে বিজয় রূপানিও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। অন্যদিকে গত বার কংগ্রেসের জেতা রাজকোট পূর্ব-ও নিজেদের দখলে রাখতে চলেছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী অরবিন্দ রায়ানি এই মুহূর্তে এগিয়ে রয়েছেন। রাজকোট দক্ষিণ ও রুরালের বিজেপি প্রার্থী যাথাক্রমে গবিন্দভাই প্যাটেল এবং লক্ষ্মীভাই সাগাথিয়া এগিয়ে রয়েছেন।

আরও পড়ুন- টার্গেট ফেল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের!

সৌরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আঁতুড়ঘর নামে পরিচিত রাজকোট। এই রাজকোট জেলাই গুজরাটকে দুটি মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছে। রাজকোট পশ্চিমে ১৯৮০ থেকেই বিজেপির পালে হাওয়া লাগতে শুরু করে। সে বার বিধানসভা আসনে কংগ্রেসের মানিভাই রানপারা জিতলেও ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছিল বিজেপির বাজুভাই বালা। পরের বার কংগ্রেসের হাতছাড়া হয় এই আসন। এরপর ১৯৮৫ থেকে বিজেপি লাগাতার জিতে এসেছে ওই আসন। ২০০২ সালে এই আসন থেকেই উপ নির্বাচনে জিতেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। পরে মানিনগর আসন থেকে মোদী লড়ার সিদ্ধান্ত নিলে বাজুভাই বালা ফের পশ্চিম রাজকোট বিধানসভা থেকে লড়েন। ২০০২, ২০০৭ এবং ২০১২ সালে এই বিধানসভা থেকে নাগাড়ে জয় পেয়েই গুজরাটের অর্থমন্ত্রীত্ব সামালিয়েছেন তিনি। মোদীর মতো বিজয় রূপানিও এই আসন থেকে ২০১৪-তে উপনির্বাচনে জিতে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- মনমোহনের মানে আঘাত! হারলেও হুঙ্কার কংগ্রেসের    

Read More