জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিহারে, মঙ্গলবার ৩১ জন নেতা ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। লালু প্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবকে মন্ত্রী করা হয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মহাজোট সরকার তাদের মন্ত্রিসভায় জাতিগত সমীকরণকে বজায় রাখার ক্ষেত্রে খুবই যত্ন নিয়েছে। OBC এবং অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণী (EBC) থেকে ১৭ জন বিধায়ককে মন্ত্রী করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় ছয় জন উচ্চবর্ণ, পাঁচ জন তফসিলি জাতি এবং পাঁচ জন জন মুসলিমকেও দেখা যাবে। জেডিইউ, আরজেডি, হাম এবং কংগ্রেসের এই মহাগঠবন্ধনে আট জন যাদব, চার জন অনগ্রসর, দুই জন কুশওয়াহা, দুই জন কুর্মি, তিন জন রাজপুত, দুই জন ভূমিহার, এক জন ব্রাহ্মণ এবং এক জন বৈশ জাতির নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এক জন ধুনীয়া পরমন্দ পশ্চাৎপদ মুসলিমকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশে প্রথমবার অত্যন্ত পিছিয়ে থাকা ধুনিয়া জাতি থেকে আসা কোনও নেতাকে আরজেডি-র কোটা থেকে মন্ত্রী করা হয়েছে।
কিন্তু কী ভাবে আরজেডি, জেডিইউ এবং কংগ্রেস নিজেদের নেতাদের সঙ্গে জাতিগত সমীকরণ তৈরি করার চেষ্টা করেছে। আরজেডি-র তরফে শুরুতেই সাত জন যাদব বিধায়ককে মন্ত্রী করেছে। এছাড়াও তিন জন মুসলিম নেতাকে মন্ত্রী করা হয়েছে। এর মধ্যে এক জন ইবিসি, এক জন ওবিসি এবং এর পাশাপাশি অন্য একজন রয়েছে। দুই জন ওবিসি, দুই জন এসসি, এক জন কুশওয়াহা, এক জন ভূমিহার, এক জন রাজপুত এবং একজন বৈশ নেতা RJD কোটা থেকে নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছেন।
এবার আসা যাক জেডিইউ-এর কথায়। শপথ নেওয়ার পরেই ২০২৪-এর দিকে ইঙ্গিত দেন নীতীশ কুমার। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছে, তারা কি ২০২৪ সালে আবার ক্ষমতায় আসবে? লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জেডিইউও জাতিগত সমীকরণএক মাথায় রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। এর জন্য মন্ত্রিসভায় তাদের তরফ থেকে দুই জন কুর্মি, এক জন যাদব, এক জন মুসলিম, জুই জন অনগ্রসর জাতির নেতা, দুই জন তফসিলি জাতির নেতা, এক জন কুশওয়াহা, এক জন ভূমিহার, এক জন ব্রাহ্মণ এবং একজন রাজপুতকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Jawan Killed in J&K: পহেলগামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে গেল বাস, নিহত ৬ জওয়ান
কংগ্রেসের কোটা থেকে একজন মুসলিম এবং একজন তফশিলি জাতির বিধায়ক মন্ত্রী হয়েছেন। জিতন রাম মাঝির দল হাম থেকে তফসিলি জাতির নেতা মহাজোট সরকারে মন্ত্রী হয়েছেন। একই সঙ্গে নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভায় নির্দল রাজপুত নেতাকেও দেখা যাবে মন্ত্রী হিসেবে।
একদিকে মহারাষ্ট্রে বিরোধীদের জোট সরকারের পতন ঘটিয়েছে বিজেপি। সরকার পতনের পরে নিজেদের জোট সঙ্গীদের সঙ্গে সরকার গড়েও মন্ত্রিসভা বণ্টনের জটে জড়িয়ে পড়েছে তারা। অন্যদিকে বিহারে বিজেপি-র জোট সরকারের পতন ঘটিয়ে জোট সরকার গড়েছে বিরোধীরা। কিন্তু সরকার গঠনের পরে দ্রুততার সঙ্গে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের ফলে বোঝা যাচ্ছে বিজেপির তুলনায় জোট সরকার গঠন এবং তাকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে অনেকাংশে এগিয়ে বিরোধীরা।