জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলে দেওয়া শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। করাত দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করেছিল লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনেওয়ালা। শ্রদ্ধার উদ্ধার হওয়া দেহাংশের হাড়গোড়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এল এই তথ্য। গত মাসেই প্রথমে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত জানা গিয়েছিল যে গুরগাঁওয়ের মেহরৌলির জঙ্গলে উদ্ধার হাওয়া হাড়গোড় শ্রদ্ধা ওয়াকারের। এরপর সেই হাড়গোড়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই জানা গেল নতুন তথ্য। দিল্লি এইমসে হয়েছে ময়নাতদন্ত। এছাড়া ফ্ল্যাটে রক্তের যে ছাপ পাওয়া গিয়েছিল, তাও শ্রদ্ধার বলে প্রমাণ মিলেছে।
প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করা থেকে ফ্রিজারে দেহাংশ সংরক্ষণ, শ্রদ্ধা খুনের তদন্তে উঠে আসে একের পর এক ভয়ংকর হাড়হিম করা চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদিকে ফ্রিজে যখন প্রেমিকার দেহাংশ থেকে কাটা মুণ্ডু মজুত, সেই অবস্থাতেও ফ্ল্যাটে নিত্য নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসে উদ্দাম যৌনতায় মেতেছে আফতাব। পাশাপাশি, মাঝ রাতে ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ডু বের করে তার সঙ্গে কথাও বলত সে। এমনকি মেক-আপও করে দিত শ্রদ্ধার কাটা মণ্ডুতে! সেই কাটা মুণ্ডু জঙ্গলে ফেলার সময়, যাতে কেউ চিনতে না পারে, তাই শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়েও দেয় ফুড ব্লগার আফতাব। শ্রদ্ধাকে খুনের পর প্রতিদিন রাত ২টো থেকে শুরু হত আফতাবের অভিযান! প্রেমিকার কাটা দেহাংশ জঙ্গলে ফেলার অভিযান। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ওই ৩৫ টুকরো ফেলে আফতাব।
এর পাশাপাশি, পুলিসি জেরায় আফতাব কবুল করে যে খুনের পর প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের নাড়িভুঁড়ির কিমা বানায় সে! তারপর সেই 'কিমা' করা নাড়িভুঁড়ি কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে দেয়! অন্যদিকে, ঘরের মেঝে থেকে রক্তের দাগ ধুয়ে মুছে ফেলতে ব্লিচিং পাউডার সহ আরও অন্যান্য রাসায়নিক ব্যবহার করে। তবে আদালতের কাছে আফতাবের দাবি, সবই নাকি সে করেছে রাগের মাথায়! কোনও পরিকল্পনা করে নয়। মুহূর্তের রাগেই নাকি সে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এমনকি সে এও দাবি করে যে, তদন্তে সে পুলিসকে সহযোগিতা করছে। এই ঘটনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য-ই সে পুলিসকে দেবে। তবে ঘটনাটি অনেকদিন আগের হওয়ার, সে অনেককিছু ঠিক মনে করতে পারছে না।
আরও পড়ুন, স্ত্রীকে খুন করে বাড়িতেই পুঁতে রাখে স্বামী! ১৮ মাস পর কুকর্মের পর্দাফাঁস...