নিজস্ব প্রতিবেদন: বুলন্দশহরে ইন্সপেক্টর খুনে অভিযুক্ত জওয়ানকে আটক করা হয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। গত সোমবার বুলন্দশহরে গো-তাণ্ডবের জেরে খুন হন ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং। অভিযোগের তির হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দিকে যায়। তবে, তদন্ত এগোতেই জানা যায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে আসছে জিতু নামে জওয়ানের। ঘটনার পরই গা ঢাকা দেয় বলে খবর।
আরও পড়ুন- গণপিটুনি নয় বুলন্দশহরে পুলিস ইনস্পেক্টরের মৃত্যু নেহাতই দুর্ঘটনা, মন্তব্য আদিত্যনাথের
গত সোমবার গোহত্যা সন্দেহে সরগরম হয়ে ওঠে বুলন্দশহর। তাণ্ডব চালায় গোরক্ষকরা। গোরক্ষকদের ছোড়া ইটে গুরুতর জখম হন ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং। সূত্রের খবর, হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে সুবোধের গাড়ি ঘিরে ধরে উন্মত্ত জনতা। অভিযোগ, প্রাণ বাঁচাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় নিরাপত্তারক্ষীরাও। এর পর গাড়ির মধ্যেই সুবোধ কুমারকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনে লড়ার জল্পনা ওড়ালেন মাধুরী
সন্দেহের তির যায় জওয়ান জিতু ফৌজির দিকে। সংঘর্ষের কিছু ভিডিও ফুটেজে তাকে দেখা গিয়েছে বলেই এনডিটিভ সূত্রে খবর। ঘটনার দিন সন্ধেয় সে কাশ্মীরে ফিরে গিয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে জিতুর সন্ধানে বুলন্দশহর পুলিসের দুটি দল জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছে।
এলাকায় গরুর দেহাংশ পাওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় জনতার। ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে একটি দল ওই সংঘর্ষ থামাতে গেলে তাদের ওপরে চড়াও হয় জনতা। এনডিটিভির দাবি অনুযায়ী একটি ভিডিওতে নাকি দেখা গিয়েছে জনতা চিত্কার করে বলছে, মারো ওকে। দেখা যায় সুবোধ কুমার সিংকে মারধর করে তার মাথায় গুলি চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জিতুকে সুবোধ সিংয়ের সামনেই দেখা গিয়েছে একটি ভিডিওতে।
আরও পড়ুন- সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে বড্ড বেশি রাজনীতি হচ্ছে, সমালোচনায় মুখর প্রাক্তন সেনা আধিকারিক হুডা
এদিকে জিতুর বাবা-মা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পুলিস তাদের ঘর ভাঙচুর করেছে। তাদের দাবি জিতু বর্তমানে কারগিলে কর্মরত। জিতুর মা জানিয়েছেন, আমার ছেলে খুনি হতেই পারে না। যদি সে খুনি প্রমাণিত হয় তাহলে তার শাস্তি পাওয়া উচিত। অন্যদিকে, পুলিসের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না সুবোধ কুমার সিংকে গুলি করেছে জিতুই।