ওয়েব ডেস্ক: উদয়ন দাসের একাধিক ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইলের হদিশ পেল পুলিস। জন শেরিডন, নিখিল অরোরা মুখার্জি, স্টিভস মেহরা, বিজেন্দ্র দাস, রায়ানসালে। এইসব নামে ফেসবুক প্রোফাইলগুলো চালাত উদয়ন। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করত উদয়ন ভন রিচথোফেন মেহরা নামের প্রোফাইলটি। আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে এই প্রোফাইলের মাধ্যমেই যোগাযোগ রাখত সে। তাতে কখনও নিজেকে মস্কো, কখনও প্যারিসের বাসিন্দা বলে ঘোষণা করত। কখনও রাষ্ট্রসংঘে চাকরির কথা বলত। কখনও আমেরিকায় Phd করার কথা বলত।
২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে উদয়ন লিখেছে, আমরা দুজন টম অ্যান্ড জেরি। নিজের মর্জিমাফিক বাঁচার হিম্মত আকাঙ্ক্ষার আছে। আকাঙ্ক্ষাই আমার জীবন, কেউ ওকে পিন ফোটালেও আমি তার হৃদয় তরোয়াল দিয়ে কেটে দেব।
আর একটি পোস্টে উদয়ন লিখেছে, ২০০৭ সালে আমার সঙ্গে ওপর প্রথম সাক্ষাত্ হয়, আমার জীবনের যে কোনও সমস্যার সমাধান ওর কাছে আছে। ওর থেকে সবসময় মূল্যবান পরামর্শ পাই। ও আমাকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। আমাকে ভাল মানুষ বানিয়েছে। আমার জীবনের এতটাই নিয়ম। আকাঙ্ক্ষার বন্ধু আমার বন্ধু। আকাঙ্ক্ষার শত্রু আমার শত্রু। কিন্তু, আকাঙ্ক্ষার শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু।
একটি পোস্টে আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে উদয়ন লিখেছে,
....ও খুব জেদি। এবং খুব খারাপ আচরণ করে। তবু ওর সঙ্গে আমি আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের মজা নিতে চাই।
আবার ২০১৫ সালের দোসরা ফেব্রুয়ারি নিজের বাবার ফেক প্রোফাইল থেকে পোস্ট করেছে উদয়ন। সেখানে বীরেন্দ্র দাস বলছেন, আমি আমার ছেলের সঙ্গে। পোস্টটিতে বাবার সঙ্গে ছেলের ফটো ট্যাগ করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৯সে ডিসেম্বর উদয়ন দাবি করছে সে মস্কোয় রয়েছে। পিঠে ট্যাটু আঁকা একটি ছবিও পোস্ট করেছে। সঙ্গে ক্যাপশন, আর্ট একটি ব্যথা। ব্যথাই দুর্বলতা।
২০১৩ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর উদয়ন লিখছে, আমি ও আকাঙ্ক্ষা এখন প্যারিসে। এখন আমি মার্সিডিজ থেকে ল্যাম্বারগিনিতে আপটেড হচ্ছি। জীবন মানেই ক্ষমতা, আভিজাত্য এবং আধিপত্য।
এই পোস্টে উদয়নের বাবা লিখছেন, স্পিড লিমিট মেনে গাড়ি চালাও। সিট বেল্ট বাঁধতে ভুলো না। উদয়ন তার বাবাকে বলছে নিশ্চই। লভ ইউ ড্যাড। তখন আবার বীরেন্দ্র দাসের প্রোফাইল থেকে কমেন্ট করা হচ্ছে, আমি পুরনো ফ্যাশনের মানুষ। তুমি আধুনিক। সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।