Home> দেশ
Advertisement

এনএসএ বৈঠক নিয়ে সীমান্তের দুই পারে চাপানউতোর তুঙ্গে, ভেস্তেই যাবে কি বৈঠক? চলছে জল্পনা

ভারত-পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক কার্যত ভেস্তে যাওয়ার মুখে। সিমলা চুক্তি এবং উফা সমঝোতা মেনে বৈঠকে রাজি কিনা তা জানাতে পাকিস্তানকে আজ রাত বারোটা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। সূত্রের খবর, পাকিস্তান তা মানতে রাজি নয়। ফলে, বৈঠক বাতিল হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই এখন শুধুমাত্র বাকি বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার দিল্লিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ বৈঠকে বসবেন বলে ঠিক হয়। কিন্তু, শনিবারও দিনভর বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে চলল দু-দেশের চাপানউতোর। সীমান্তের এপারে-ওপারে সাংবাদিক বৈঠকে চলল ব্যাপক গোলাগুলি।

এনএসএ বৈঠক নিয়ে সীমান্তের দুই পারে চাপানউতোর তুঙ্গে, ভেস্তেই যাবে কি বৈঠক? চলছে জল্পনা

ব্যুরো: ভারত-পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক কার্যত ভেস্তে যাওয়ার মুখে। সিমলা চুক্তি এবং উফা সমঝোতা মেনে বৈঠকে রাজি কিনা তা জানাতে পাকিস্তানকে আজ রাত বারোটা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন সুষমা স্বরাজ। সূত্রের খবর, পাকিস্তান তা মানতে রাজি নয়। ফলে, বৈঠক বাতিল হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই এখন শুধুমাত্র বাকি বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার দিল্লিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ বৈঠকে বসবেন বলে ঠিক হয়। কিন্তু, শনিবারও দিনভর বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে চলল দু-দেশের চাপানউতোর। সীমান্তের এপারে-ওপারে সাংবাদিক বৈঠকে চলল ব্যাপক গোলাগুলি।

পাকিস্তানের দাবি, NSA বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চায় তারা। ভারতের সাফ কথা, সন্ত্রাস ছাড়া অন্য বিষয়ে আলোচনা নয়।
হুরিয়ত নেতাদের কাশ্মীরের প্রতিনিধি স্বীকৃতি দিয়ে NSA বৈঠকের সময় তাদের সঙ্গে আলোচনা চায় ইসলামাবাদ। দিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সিমলা চুক্তি মেনে কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও তৃতীয় পক্ষকে মেনে নেওয়া হবে না।

শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ইসলামাবাদে সাংবাদিক বৈঠক করেন সরতাজ আজিজ। বিকেল চারটে নাগাদ দিল্লিতে তার উত্তর দেন
সুষমা স্বরাজ।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগেই দু-দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে। পরিস্থিতি যখন এতটাই তিক্ত তখন আলোচনায় কী লাভ হবে?
ওয়াঘার দুপারেই যখন এই প্রশ্ন উঠছে, তখনই পাকিস্তানকে চরম সময়সীমা দিয়ে দিলেন সুষমা স্বরাজ।

সারাদিনের এই নাটকীয় পরিস্থিতির জন্য সরকারের হোমওয়ার্কের অভাবকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস।

কূটনৈতিক মহলের মতে পাক সেনা, আইএসআই আলোচনা চাইছে না বলেই নওয়াজ শরিফ কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলে পালাবার পথ খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন। উধমপুর, গুরুদাসপুরে জঙ্গি হামলা, নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক সেনার লাগাতার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের পর আলোচনার টেবিলে যাওয়া
না যাওয়া নিয়ে দিল্লির ওপরও চাপ রয়েছে। জটিল এই পরিস্থিতিতে কথাবার্তার রাস্তা যদি আবার বন্ধ হয়ে যায় তা হলে শান্তির আশা দুরাশাই রয়ে যাবে। আশঙ্কার মেঘ ওয়াঘার দুপারেই।

 

Read More