ওয়েব ডেস্ক: খোঁজ। খোঁজ। খোঁজ! সুখ আছে কোথায়? সুখের খোঁজে হন্যে হয়ে তন্ন তন্ন করে খোঁজের পর অবশেষে মিলল সুখের ঠিকানা। পৃথিবীতেই আছে সুখ। সুখ পেতে হলে যেতে হবে ইউরোপ! সুখ বলয়ের খোঁজ মিলেছে সেখানেই। ১৫৫ দেশের মধ্যে ইউরোপের সুখ বলয়ের মধ্যমণি হয়ে পৃথিবীর সবথেকে সুখী দেশের শিরোপা উঠল নরওয়ের মাথায়। রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০১৭- অনুযায়ী পৃথিবীর সবথেকে সুখী দেশ হল ইউরোপ মহাদেশের নরওয়ে। প্রথম চারে আছে ডেনমার্ক, আইল্যান্ড এবং সুইৎজারল্যান্ড। তবে সুখের 'গ্যাং অফ ফোরে'র কেন্দ্রবিন্দুত রয়েছে নরওয়ে। 'টাকা নয়', যত্নশীলতা, স্বাধীনতা, উদারতা, সততা, স্বাস্থ্য, আয় এবং সুশাসন-এই মানদণ্ডেই সুখের মরিমাপ করেছে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ। আর এই 'সুখের পরীক্ষায়' বাকি দেশগুলোর থেকে তুলনায় বেশি নম্বর পেয়েই প্রথম হয়েছে নরওয়ে। উল্লেখ্য সুখ 'হারিয়েছে' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! নিজের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে ১৫ নম্বরে নামতে হয়েছে ট্রাম্পের দেশকে। ১৫৫টি সুখী দেশের তালিকায় ভারত আছে ১২২ নম্বরে।
সুখী দেশের তালিকায় প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, কানাডা, নিউজিলন্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং সুইডেন। সুখী দেশের তালিকায় থাকা প্রথম দশ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের 'মানসিক স্বাস্থ্য', 'মনস্তত্ত্ব', 'মানবিক সম্পর্ক' গোটা পৃথিবীর কাছে উদাহরণ হওয়ার মত এবং শিক্ষণীয়, এমনই দাবি করছে রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট (২০১৭)। ওই রিপোর্টের আরও দাবি, আর্থিক উন্নয়নের বিচারে চিন গোটা পৃথিবীর কাছে বিকল্প মডেল হলেও সুখের বিচারে এই কমিউনিস্ট দেশ বিগত ২৫ বছর ধরে সুখ হারিয়েই যাচ্ছে! আমেরিকার অধঃপতনের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা দায়ী করেছে, 'অসামাজিকতা এবং অপশাসন'কেই।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর দুঃখী দেশের মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে মিডল ইস্ট এবং আফ্রিকা। ইয়েমেন, সিরিয়া, তানজানিয়া এবং মধ্য আফ্রিকার সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ।