জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদান দিবস। এরকম একটি দিনের গভীর তাৎপর্য। মেডিক্যাল সেক্টরের সাপেক্ষে এই রকম দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। দিনটি সারা বিশ্বে পালিত হয়। রক্তের অভাবে কত মানুষ দুরারোগ্য রোগে ভোগেন, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষেন। সময়মতো একটু রক্ত পেলে কত জীবন বেঁচে যায়!
আরও পড়ুন: Update Your Aadhar Details: আধার কার্ড আপডেট করার শেষ দিন কবে জানেন? এর পরে কিন্তু...
আমেরিকান রেড ক্রস বহুদিন আগেই রক্তদান প্রসঙ্গে একটি দারুণ তথ্য হাজির করেছিল। তারা জানিয়েছিল, এক ইউনিট ব্লাড (450 ml) ব্যবহার করে অন্তত ৩ জনের জীবনরক্ষা সম্ভব। রক্তের সমস্ত উপাদান আলাদা করে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থাও আছে। আলাদা করে লোহিতরক্ত কণা, শ্বেত রক্তকণা, অনুচক্রিকা বা প্লেটলেটস সংরক্ষণ করা হয়।
রক্তদান করার আগে ডোনরের কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। যেমন, প্রথমত তাঁর বয়স অবশ্যই হতে হবে আঠারো-উত্তীর্ণ। ডোনর আন্ডার-ওয়েট (৪৫-৫০ কেজির নীচে) হলে রক্তদান চলবে না। ডোনরের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও তাঁর রক্তদান চলবে না। রক্তদাতা কোনও সংক্রামক রোগে ভুগলে চলবে না। রক্ত দেওয়ার আগে তাঁকে আগাগোড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। রক্তদানের আগে তিনি কোনও রকম মাদক সেবন করলে চলবে না। রক্ত দেওয়ার আগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মদ্যপান চলবে না। রক্তদানের দিন ধূমপান করা চলবে না। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বা ঋতুমতীরাও কোনও ভাবে রক্ত দিতে পারবেন না।
বছরে কতবার রক্ত দান করা যায়?
একজন ব্যক্তি বছরে অন্তত ৪ বার রক্তদান করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ইন্ডোর প্ল্যান্টসের বাস্তু জানেন? ঘরে এই কয়েকটি গাছ রাখলে সংসারে ঝরবে সম্পদ-অর্থ-প্রেম...
প্রতি বছরই দিনটির একটি থিম থাকে। এ বছরের বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের থিম হল-- 'গিভ ব্লাড, গিভ প্লাজমা, শেয়ার লাইফ, শেয়ার অফেন'। এর অর্থ, রক্ত ও প্লাজমা দিন, নিয়মিত দিন, এবং জীবনের অংশ ভাগ করে নিন, মানে অন্যকেও বাঁচার সুযোগ করে দিন।