নিজস্ব প্রতিবেদন: একজন স্বামী মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের (High Court of Madhya Pradesh) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দরজায় কড়া নাড়ছেন। তার দাবি , তিনি তার স্ত্রীর কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চান। কিন্তু তার অনুরোধ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে হাইকোর্ট। তার দাবি, তার স্ত্রী 'নারী নন'।
সুপ্রিম কোর্ট এই স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনের ভিত্তিতে তার স্ত্রীকে নোটিশ জারি করেছে। তার স্ত্রীর চিকিৎসার ইতিহাস প্রকাশ না করায় তার স্বামী প্রতারিত হয়েছেন কারণ তিনি একজন 'মহিলা' নন,এই আবেদনে ভিত্তিতে জারি করা হয়েছে নোটিশ।
বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল (Justices Sanjay Kishan Kaul) এবং এমএম সুন্দরেশের (MM Sundresh) বেঞ্চ ২৯ জুলাই, ২০২১ তারিখের মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের গোয়ালিয়র বেঞ্চের (Gwalior bench) আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে স্বামীর আবেদনের জবাব দিতে বলেছে স্ত্রীকে।
আবেদনকারীর কৌঁসুলি কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছে যে আবেদনের ৩৯ পৃষ্ঠায় দেখানো হয়েছে যে স্ত্রীর চিকিৎসা ইতিহাসে দেখা যাচ্ছে যে "পেনিস + ইম্পারফোরেট হাইমেন"। এরফলে বোঝা যাচ্ছে যে স্ত্রী মহিলা নন। চার সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেছে আদালত।
আবেদনকারী ব্যক্তি ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জানিয়েছে ৬ মে, ২০১৯ তারিখের ট্রায়াল কোর্টের আদেশে আবেদনকারীর দায়ের করা ব্যক্তিগত অভিযোগটি খারিজ করা হয়েছিল। সেখানে বলাহয় যে, শুধুমাত্র মৌখিক প্রমাণের ভিত্তিতে এবং কোনও মেডিকেল প্রমাণ ছাড়াই ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC), ১৮৬০ এর ৪২০ নম্বর ধারা (প্রতারণা) অনুযায়ী , কোনও অপরাধ করা হয়নি।
পিটিশনে বলা হয়েছে যে ওই ব্যক্তি এবং মহিলার বিয়ে হয় ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। পিটিশনে বলা হয়েছে যে বিয়ের পর স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেননি। পরবর্তীকালে স্বামী জানতে পারেন যে একজন নারির শরীরের সঙ্গে তার স্ত্রীর শরীরের মিল কম এবং এরপরেই তিনি তার স্ত্রীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: LIC: চলতি আর্থিক বর্ষে বাজারে নাও আসতে পারে LIC IPO
পরীক্ষার পরে জানা যায় ওই ব্যক্তির স্ত্রীর 'ইম্পার্ফোরেটেড হাইমেন' নামে একটি শারীরিক সমস্যা রয়েছে। আবেদনকারী জানিয়েছেন যে তার স্ত্রিকে অপারেশন করার কথা বলা হয় যদিও ডাক্তারের তরফে এটাও জানানো হয় যে ওই মহিলা কোনওদিনই মাহতে পারবেন না। এরপরেই আবেদনকারী ব্যক্তি নিজেকে প্রতারিত মনে করেন এবং তার স্ত্রীর বাবাকে ফোনে করে বলেন যেন তার মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পিটিশনটি আরও জানিয়েছেন যে মহিলার অস্ত্রোপচার করা হয় এবং তারপরে তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসার পরে তার বাবা জোর করে ওই ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে তাকে হুমকি দেয় যাতে তার মেয়েকে ফেরত না পাঠানো হয়।
ওই ব্যক্তি অবশ্য পরে স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে আদালতে আবেদন করে।