Home> লাইফ স্টাইল
Advertisement

প্রেম অন্তহীন

প্রেম অন্তহীন

শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ

অনেকরাতে সুভাষের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে স্তম্ভিত  তাপস। একী হলো রত্নার! দুবছর বিয়ে হয়েছে প্রিয়-বন্ধু সুভাষের সাথে। আর...
ঝামেলার বিয়ে ওদের। সুভাষ বেকার। তখন-ও স্কুলশিক্ষক হয়নি। তাই রত্নার পরিবার রাজি ছিলনা।
তখন তাপস ব্যাংকের চাকরিটা পেয়েছে। রত্না এসেছিল এক সন্ধ্যায়। বলেছিল --তাপস-দা,  আমার কিছু কথা...
--- খাওয়াতে হবে?
---যদি চাও...
---চাই মানে, আলবত চাই! আমার রত্না খেতে চাইছে, আর আমি...
রত্না বলেছিল---আগে মাইনে পাও, টিউশানির টাকায় তো খেয়েইছি।
----তাই হবে, কিন্তু আজতো কিছু খাও...
---তোমাকে বললাম না, কিছু বলতে চাই।
---যা বলবে, আমি আন্দাজ করতে পারছি, সো-টু-সে, এই কথাটা শোনার জন্যে আমি...
----আমি সুভাষ-দাকে বিয়ে করতে চাই তাপস-দা, বাবা রাজি হচ্ছেনা। তোমাকে
রাজি করাতে হবে। প্লিজ তাপস-দা, নাহলে আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে।
শুনে হতচকিত তাপস কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেনি। পরে কোনোরকমে বলেছিল--বেশ।
সেই রত্না কিনা দুবছরের মধ্যে...

সুভাষ চাকরি পাওয়ার পর রত্নাকে নিয়ে চুচুড়ায় থাকতো। তাপস ওদের বাড়িতে পৌঁছেছিল খুবভোরে। রত্না-র মা দরজা খুলে বলেছিল -হঠাৎ কী হয়ে গেল তাপস! কেন যে ঘুমের বড়ি খেলো সুভাষ!
রত্নার সামনে দাঁড়াতে তাপসের ভয় করলো। ওকে দেখে রত্না চোখ নামিয়ে নিল। তাপস রত্নার পাশে বসে ওর মাথায় হাত রাখল। রত্না যেন কেঁপে উঠল। তাপস বলল-- কেন এমন হলো? তোমার জন্য কি?
শুনে রত্না তাপসের চোখে চোখ রাখলো। তারপর কাঁপা- কাঁপা গলায় বলল---তোমার জন্য। (আরও পড়ুন- ভালোবাসি)

Read More