ওয়েব ডেস্ক: সেক্স-এটি মানব জীবনের একটি জৈবিক ক্রিয়া। বলা ভালো, প্রতি জীবের সৃষ্টির আদি এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ই হল সেক্স। ব্যক্তি মানুষের মধ্যে তার সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীর জন্য তৈরি হওয়া গভীর অনুভূতি থেকেই যৌনমিলনের ইচ্ছার সৃষ্টি হয়। তবে বর্তমান সময়ে সম্পর্ক এবং অনভূতির সংজ্ঞা এবং তার ব্যবহারিক প্রয়োগ যেভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তাতে অনেকেই প্রাকৃতিক যৌনতার অতৃপ্ততা মেটাতে 'অপ্রাকৃতিক' উপায়ের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে। বর্তমান সময়ে প্রেমিক-প্রেমিকা তো বটেই বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নর এবং নারীর মনন বহুলাংশে পর্নগ্রাফির ওপর ঝুঁকছে। এমনিতে চিকিৎসা শাস্ত্র এবং গবেষণা বারেবারে দেখিয়েছে অতিরিক্ত পর্নগ্রাফি মানব মননের জন্য সুখকর নয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা দিক নির্দেশ করছে এক অন্য দিগন্তের দিকেই। অনেক দিন আগেই 'টাইমস অব ইন্ডিয়া'-তে প্রকাশিত গবেষণা ভিত্তিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নর-নারী একসঙ্গে পর্ন দেখলে তা নাকি সম্পর্কের পক্ষে ভালো। সেই মতের সঙ্গে একমত হয়েছে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম 'মেট্রো'-ও।
'টাইমস অব ইন্ডিয়া'র ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পর্ন দেখলে তা একদিকে যেমন তাদের যৌনমিলনের আকাঙ্খাকে বাড়িয়ে তোলে ঠিক তেমনই 'সেক্সুয়াল অ্যাক্ট'-কেও প্রভাবিত করে। ওই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়, পর্ন দেখা কোনও 'পাপ' নয়। বরং বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা তখনই বাড়ে, যখন স্ত্রী-পুরুষ একসঙ্গে পর্ন দর্শনে অনীহা প্রকাশ করে। অনেক মহিলাদেরই মত, "স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পর্ন উপভোগ করছে, এটা অনেক ভালো। বরং যদি কোনও সঙ্গী পর্ন দেখার সময় নিজের সঙ্গিনীর বদলে অন্য কারোর কথা ভাবে, তাহলে তা সঙ্গীকে ঠকানোর সমান। মনোবিদদের মত, "পর্ন কখনই আত্মার পরিতৃপ্তির একমাত্র পথ হতে পারে না। একসঙ্গে পর্ন দেখা, এটা অবশ্যই দুজনের সম্মতিতেই হওয়া উচিত। পর্ন কখনও কখনও ছোট্ট পরিসরে উপকারী হতে পারে, বড় পরিসরে নাও হতে পারে"।
মনবিদরা আরও বলছেন-
* সঙ্গী এক্স-ভিডিও দেখছে মানেই সে সম্পর্ককে অসম্মান করছে, তেমনটা একেবারেই ভাবা উচিত নয়।
* এক্স-ভিডিও দেখার মধ্য দিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই সেক্সুয়াল রিলেশনশিপের উন্নতি হয়।