Home> লাইফ স্টাইল
Advertisement

পানীয় জলের মাধ্যমেও শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ! সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! পানীয় জলের সঙ্গেই আপনার শরীরে ঢুকতে পারে প্লাস্টিক। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষকদের!

পানীয় জলের মাধ্যমেও শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ! সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাইরে থেকে এসে আগেই হাত দেন জলের বোতলে! তেষ্টা পেলে রাস্তা থেকেই কিনে পান করছেন জল? কিন্তু জানেন কি আপনার অজান্তেই আপনার শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিক। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! পানীয় জলের সঙ্গেই আপনার শরীরে ঢুকতে পারে প্লাস্টিক। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষকদের।

প্রতিদিন পানীয় জলের সঙ্গে শরীরে একটু একটু করে ঢুকছে প্লাস্টিক। তার পরিমাণ যত কম হোক না কেন, কয়েক বছরের মধ্যেই এর ফল হতে পারে মারাত্মক। ২০১৯ সালেই এই সতর্কতা জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'। আবারও একবার সেই আশঙ্কার কথা মনে করিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা।

পানীয় জলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে প্লাস্টিক, তাই নিয়েই চলেছে গবেষণাও। আর এই গবেষণার শুরুতেই বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, শরীরে প্লাস্টিকের প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিকের প্যাকেট ও অন্যান্য সরঞ্জাম মিশে যায় জলের সঙ্গে। আর সেই জলই প্রক্রিয়াকরণের পর আসে আমাদের কাছে।

প্যাকেটজাত হওয়ার আগে এমন কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না, যাতে জল থেকে প্লাস্টিক সরানো যায়। আর জল থেকে প্লাস্টিক সরানোর প্রযুক্তিও খুব ব্যয়বহুল বলেই জানাচ্ছেন ওয়াসিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক ইন্দ্রনীল চৌধুরী।

পরিত্যক্ত জলে মিশে থাকে নানান ধরনের অ্যাসিড ও লবণ। আর তার ফলেই প্লাস্টিক পলিমার ভেঙে গিয়ে ন্যানোপার্টিকল মেশে জলে। পরিশোধনের পর সেই অ্যাসিড এবং লবণ সরানো গেলেও প্লাস্টিকের কণাগুলো থেকেই যায়। আর এভাবেই শরীরে প্রতিদিন জলের মাধ্যমে ঢুকছে প্লাস্টিক।

আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস আগেভাগেই শনাক্ত করতে বিশেষ কিট আবিষ্কার করলেন ভারতীয় গবেষকরা

জল থেকে এক মাসেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে কয়েক গ্রাম প্লাস্টিক। আর সেক্ষেত্রে ২০ বছরের মধ্যেই সমগ্র প্রাণীজগত বিভিন্ন রোগের শিকার হতে পারে প্লাস্টিকের কারণে। তাই যেখানে সেখানে প্লাস্টিক না ফেলে সেগুলো পুনর্ব্যবহারের দিকে নজর দিতে বলছেন অধ্যাপক চৌধুরী। নাহলে ব্যবহৃত প্লাস্টিকই শরীরে ঢুকবে বিষ হয়ে যা নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে গোটা প্রাণী জগত।

Read More