নিজস্ব প্রতিবেদন: জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দেবী ষষ্ঠীর পূজার মধ্য দিয়ে ব্রত পালন করা হয়। বিবাহিত মেয়ে এবং জামাইকে নিমন্ত্রণ করে আদর-আপ্যায়ন করা এই ব্রতের রীতি। জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় শাশুড়ি মায়েরা এই ব্রত পালন করেন। এককথায়, আদরের কন্যার সুখী দাম্পত্য জীবন কামনার উদ্দেশ্যে পালনীয় ব্রত জামাইষষ্ঠী।
বাঙালি হিন্দুসমাজে এ উৎসবের সামাজিক গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিশেষত যে পরিবারে সদ্য বিবাহিতা কন্যা রয়েছে সেই পরিবার এই পার্বণটি ঘটা করে পালন করে। আর বাঙালির এই সামাজিক পার্বণটিকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য রীতিমতো আকর্ষণীয় মেনু সাজিয়ে প্রস্তুত শহর তিলোত্তমার রেস্তরাঁগুলি। জুন মাসের একটি নির্দিষ্ট দিনকে কেন্দ্র করে হওয়া এই উৎসবে তাই দেদার খাওয়াদাওয়ার আয়োজন।
মূলত জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে এই প্রথাটি পালন করা হয়ে থাকে। এবছরের জামাইষষ্ঠী পড়েছে ৫ জুন অর্থাৎ ২১ শে জ্যৈষ্ঠ। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে রবিবার ৫ জুন ভোর ৪টে ৫২ মিনিট থেকে ৬ জুন সকাল ৬টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে এই ষষ্ঠী তিথি। বেণীমাধব শীলের পঞ্জিকা মতে শনিবার ৪ জুন রাত ১টা ৭ মিনিট হইতে ৫ জুন রবিবার রাত্রির ২টো ২৪ মিনিট পর্যন্ত থাকবে এই ষষ্ঠী তিথি।
জামাইষষ্ঠীর নিয়ম
সাধারণত মরশুমি ফল দিয়ে জামাই আদর করা হয়। আম,জাম, কাঁঠালের মরশুমে জামাইকে ফল দিয়ে আদর যত্ন করার পাশাপাশি ভাতপাতে একাধিক লোভনীয় পদও রাখার রীতি রয়েছে। বহু বাড়িতেই জামাইকে এই দিনে বাসন্তি পোলাও এবং পাঁঠার মাংস খাইয়ে আদর যত্ন করা হয়। সঙ্গে চলে তাল পাতার পাখার হাওয়া। জামাইকে দেওয়া হয় নতুন বস্ত্র, উপহার। তাঁকে আসনে বসিয়ে খাওয়ানোর রীতি রয়েছে, সঙ্গে মঙ্গলদীপও জ্বালানো হয়।
আরও পড়ুন, Optical Illusion: অনেক ছবিই লুকিয়ে রয়েছে একটি ছবিতে! আপনি ক'টি দেখতে পাচ্ছেন?