নিজস্ব প্রতিবেদন: লক্ষ্য কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার। সিবিআই তাঁকে হাতে পেতে মরিয়া। আর তা আটকাতে রীতিমত ‘সতাগ্রহ’ আন্দোলন নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রশ্ন রাজীব কুমারের হাতে সারদা সংক্রান্ত ঠিক কী এমন প্রমাণ রয়েছে? যার জন্য কেন্দ্র-রাজ্য সংঘর্ষে উত্তাল রাজনীতি।
সিপি রাজীব কুমারের হাতে কী প্রমাণ রয়েছে?
সূত্রের খবর, সারদাকাণ্ডের তদন্তে নেমে সুদীপ্ত সেনের মিডল্যান্ড পার্কের অফিস থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধিন সিট।
আরও পড়ুন: সিবিআইকে বাধা, রাজ্যের ৩ IPS-এর বিরুদ্ধে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
সিবিআই ২০১৮ সালে আদালতে অভিযোগ করে, সিটের সদস্যরা সুদীপ্ত সেনের মিডল্যান্ড পার্কের অফিস থেকে ৫ টি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছিল। কিন্তু সেই মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য সিটের সদস্যরা সিবিআইকে জানাননি বলে অভিযোগ। সারদাকাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর সিবিআইকে এসব বিষয়ে স্পষ্ট করে রাজ্যের তরফে কিছুই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের অপসারণ চেয়ে এবার হাইকোর্টে পালটা মামলা
সিবিআই-এর আরও অভিযোগ, শুধু উদ্ধার হওয়া মোবাইল কিংবা ল্যাপটপই নয়, সারদাকর্তার মুখে একাধিকবার উচ্চারিত ‘লাল ডায়েরি’র ব্যাপারেও তাদের কিছু জানানো হয়নি। ওই লাল ডায়েরিতে এমন নেতা-নেত্রীর নাম লেখা রয়েছে, যাঁরা সারদা থেকে টাকা আত্মসাত্ করেছেন। অন্তত এমনটাই অভিযোগ সিবিআইয়ের। এবিষয়ে রাজীব কুমারের কাছে একাধিকবার জানতে চায় সিবিআই। কিন্তু কলকাতার পুলিস কমিশনারকে চিটফান্ডকাণ্ডের তদন্তে একাধিকবার তলব করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। উলটে তদন্তে অসহযোগিতা ও বাধা সৃষ্টি করেছেন তিনি।