ওয়েব ডেস্ক: আগামী বিধানসভা অধিবেশনে আসতে চলেছে অষ্টম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিল। গত ৩ বছরে রাজ্যে ৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। কিন্তু দু -একটি বাদ দিলে, বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোথাও এবছর ছাত্র ভর্তির সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়নি। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বর্তমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই যেখানে ধুঁকছে, সেখানে আবার নতুন করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন কেন? তবে কি চাহিদা যাচাই না করেই ভোটের আগে দরাজ হস্ত সরকার?
গত তিন বছরে রাজ্যে তৈরি হয়েছে সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই কার্যত ধুঁকছে। জেলার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের সংখ্যা মাত্র ৪০। খাস কলকাতার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংখ্যা প্রায় ১৬০ জন। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভর্তির সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়নি। মাত্র দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের সংখ্যা দেড় হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যেই অষ্টম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিল আসছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে।
সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন বেহাল দশা। তাহলে ফের একটি নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেন? চাহিদা যাচাই না করেই কেন নতুন অনুমোদন?
সিঁদুরে মেঘ দেখছে শিক্ষামহল। বাম জমানায় একের পর এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ঢালাও অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু জয়েন্টের কাউন্সেলিংয়ের পর দেখা গেছে, সেই কলেজগুলির অধিকাংশ আসনই ফাঁকা। কার্যত পরিকাঠামোর অভাবে ওই কলেজগুলি থেকে মুখ ফিরিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। তা থেকেও শিক্ষা নেয়নি বর্তমান সরকার। অভিযোগ শিক্ষাবিদদের।