Home> কলকাতা
Advertisement

বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে কি লাভবান তৃণমূল কংগ্রেস!

শাসক দলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মানুষ। এমন দাবি নিয়ে মানুষের ইচ্ছাকে সমর্থন জানাতে জোটের পক্ষে সবথেকে বেশি সওয়াল করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরি। কিন্তু জোটের প্রভাব সম্ভবত সবথেকে বেশি বুমেরাং হতে চলেছে 'দাদা'র খাস তালুকেই।

বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে কি লাভবান তৃণমূল কংগ্রেস!

ওয়েব ডেস্ক: শাসক দলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মানুষ। এমন দাবি নিয়ে মানুষের ইচ্ছাকে সমর্থন জানাতে জোটের পক্ষে সবথেকে বেশি সওয়াল করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরি। কিন্তু জোটের প্রভাব সম্ভবত সবথেকে বেশি বুমেরাং হতে চলেছে 'দাদা'র খাস তালুকেই।

বাম শরিক দলগুলির সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় রাজ্যে ২৫টি আসনে একসঙ্গে লড়বে বাম-কংগ্রেস। অর্থাৎ বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে। এই  বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই সবথেকে বেশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নিজের জেলা মুর্শিদাবাদে। ২২টি আসনের ১৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বাম, কংগ্রেস দুই শিবিরই। মানুষের সবার্থে রাজ্য জুড়ে যে জোটের হাওয়া উঠছিল সেই হাওয়ার মুখ কার্যত উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিতে চলেছে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই। তার ফলে জোটের সাফল্যের পথ দেখিয়েছিল যে উত্তরবঙ্গ, সমস্যায় পড়তে পারে সেই উত্তরবঙ্গও। জোট হলে চাপে পড়তে পারে তৃণমূল, শুরুর দিকে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এখন প্রশ্ন, বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হলে কী দাঁড়াবে ভোট বাক্সের সমীকরণ? বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে দু'রকম সমীকরণ হতে পারে। এক, প্রত্যাশা মত লাভবান হবে জোট। দুই, ফায়দা পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। সমীক্ষা বলছে দ্বিতীয় ক্ষেত্রেই পাল্লা ভারী। সেক্ষত্রে আরও প্রশ্ন কার ভোট কোন দিকে যাবে?

প্র: বাম দূর্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হলে হলে ভোট কার?
উ:  বাম দূর্গে বাম সমর্থকদের ভোট খানিকটা হলেও যেতে পারে কংগ্রেসের ঘরে।

প্র: কংগ্রেসের ঘাঁটিতে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হলে ভোট কোন দিকে?
উ: কংগ্রেসের ঘাঁটিতে কংগ্রেসের কোনও ভোটই বামদের ভোট বাক্সে যাবে না।

এই সমীকরণ যদি সঠিক হয়, তবে শাসকবিরোধী এই জোটে লাভবান হবে তৃণমূল কংগ্রেসই।

 

Read More