জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কিংপিন মানিক ভট্টাচার্যই (Manik Bhattacharya)। তাঁর আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি হয়েছে। জুলাইয়ে মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার নথিতেই লুকিয়ে রয়েছে সেই সমস্ত প্রমাণ।সূত্রের খবর, এমনটাই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate)। আদালতে হেফাজত পাওয়ার পর রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি তদন্তকারীরা। তার পর থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে মানিককে নিয়ে। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। পলাশিপাড়ার বিধায়কের জরুরি শুনানির আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। জানায়, নির্ধারিত সময়েই হবে শুনানি হবে। ততদিন ইডি হেফাজতে থাকতে হবে মানিককে।
রাতভর ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। সিজিও কমপ্লেক্সে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বয়ানে অসঙ্গতি ও সহযোগিতা না করার অভিযোগে ভোররাতে গ্রেফতার করা হল তাঁকে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হিসাবে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজশ, তাঁকে সুপারিশের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আদালতেও বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি। তদন্তকারীদের বক্তব্য, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। যে চিঠিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে উদ্দেশ করে লেখা। চিঠিটি একটি অভিযোগপত্র। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কেউ অভিযোগ করেছেন যে, ৪৪ জনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ চিঠিতে। চাকরির বিনিময়েই এই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইডির। আপাতত আদালতের নির্দেশে ১৪ দিন ইডি হেফাজতে থাকবেন মানিক ভট্টচার্য। রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই এড়িয়ে যাচ্ছেন মানিকবাবু।
আরও পড়ুন, বিকেলে মমতার বিজয়া সম্মিলনীর আগেই দিলীপ-আয়োজনে বাহারি ভোজ! মেনু?