নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। ২ বছর ৩ মাস পর বেহালা, ঠাকুরপুকুর, জোকা সহ একাধিক জায়গার সংযোগকারী এই ব্রিজটি আজ খুলে দেওয়া হল। উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন এক দিনে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
আরও পড়ুন-'শুভেন্দু কোথায় যাচ্ছে জানি না; কেউ গেলে কী হবে! দলের হাল মমতার শক্ত হাতে'
It is time accountability be fixed and exemplary punishment for negligence be given to those who failed to upkeep this crucial bridge. State PWD Minister should have resigned following the deaths of Prabir Kumar Dey, Soumen Bag and Gautam Mondal, 2 years ago.
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) December 3, 2020
But CM did nothing.
As CM @MamataOfficial, under relentless pressure from the BJP, proceeds to inaugurate the critical Majherhat bridge, people of Kolkata cannot forget the pain she inflicted on them, back in Sept 2018, when the tragedy struck. She was unmoved by the damage, destruction and death.
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) December 3, 2020
ব্রিজটি চালু করার দাবিতে সপ্তাহ দুয়েক আগেই তারাতলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। এনিয়ে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। বৃহস্পতিবার একের পর এক টুইট করে এনিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজয়বর্গীয়।
বিজয়বর্গীয় লেখেন, বিজেপির টানা চাপে শেষপর্যন্ত মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধন হচ্ছে। কিন্তু কলকাতার মানুষ ২০১৮ সাল থেকে যে যন্ত্রণা ভোগ করেছেন তা তাঁরা ভুলতে পারবেন না। যে ক্ষতি ও মৃ্ত্যু হয়েছিল তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একেবারেই বিচলিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন-'গ্রামের ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়ছে', গড়বেতায় বার্তা শুভেন্দুর
অন্য একটি টুইটে বিজয়বর্গীয় লেখেন, এখন খুঁজে বের করতে হবে, মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পেছনে কাদের গাফিলতি দায়ী। তাদের শাস্তি দিতে হবে। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রবীর কুমার দে, সৌমেন বাগ ও গৌতম মন্ডল নামে তিন জনের। ওই ঘটনার দায় নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তত্কালীন পুরমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
উল্লেখ্য, আজ মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। নতুন এই ব্রিজটি চওড়ায় ১৬ মিয়ার, লম্বার ৬৩৬ মিটার। ব্রিজটির বিশেষত্ব হল একটি নির্দিষ্ট মাত্রার পর বেশি ভার এর ওপরে চাপলে তা নজরে আনবে ব্রিজে লাগানো সেন্সর।