অর্ণবাংশু নিয়োগী: একদফা আরও চাপ বাড়ল প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। পরীক্ষার ফল না জানানোয় তাঁকে ২ লাখ টাকা জরিমান করল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই টাকা তাঁকে মেটাতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে। সোমবার এমনটাই নির্দেশ দেন কলতাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-আপনারা কি সংসার করতে চান? বিচারকের প্রশ্ন শুনে কী জবাব দিলেন সৌমিত্র-সুজাতা
জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যকে কেন এমন বিপুল টাকা জরিমানা? এক টেট পরীক্ষার্থীর করা মামলার ভিত্তিতে ওই জরিমানা করা হয়েছে মানিককে। ২০১৪ সালে টেট-এ বসেন মালারানী পাল। পরীক্ষা তো দিয়েছিলেন কিন্তু সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কিনা তা পর্ষদ কখনও তাকে জানায়নি। তার দাবি, সেই জন্যই তিনি ২০১৬ ও ২০২০ সালে তিনি টেট-এ বসতে পারেননি। এতে তাঁর প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
ওই মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হল, পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার রয়েছে সকল পরীক্ষার্থীর। কিন্তু রপর্ষদের সর্বোচ্চ পথে এমন একজন ব্যক্তির জন্যই এই পরিস্থিতি। এর জন্য পর্ষদের শীর্ষ পদে থাকা মানিককে ২ লাখ টাকা জরিমান করা হয়। ওই নির্দেশনামা তাঁর কাছে পৌঁছে দেবেন তাঁর আইনজীবী। ওই জরিমানার টাকা তাঁকে মেটাতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে। পরবর্তী শুনানি ৩০ জানুয়ারি।
প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্ীতিতে নাম জড়ানোয় গত ২০ জুন মানিক ভট্টাচার্যকে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর একাধিকবার জেরা, তাঁকে খুঁজে বের করতে লুক আউট নোটিস-সহ একাধিক বিষয় হয়েছে। শেষপর্যন্ত গত ১১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় মানিককে।