শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় ও সুতপা সেন: বিধানসভায় পাস হওয়ার পরেও বিল আটকে থাকছে রাজভবনে! কেন? 'যতক্ষণ পর্যন্ত সংবিধান সংশোধন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে না', বললেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বিল নিয়ে নবান্ন-রাজভবন সংঘাত। রাজ্যপালকে এবার এক্তিয়ার স্মরণ করালেন স্বয়ং মুখ্য়মন্ত্রী। এদিন নবান্নে তিনি বলেন, 'রাজ্যপালকে যখন আচার্য রাখা হয়েছিল, তখন রাজ্য়পাল মাত্র ১০-১২ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আচার্যের চেয়ারটা সম্মানের চেয়ার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় চালায় উচ্চশিক্ষা দফতর'। সঙ্গে বার্তা, 'আমরা প্রত্যেকে যেন মনে রাখি, আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে চলার পক্ষে আমি মনে করি, রাজ্যপালকে হয়তো কেউ ভুল বোঝাচ্ছে'।
কী প্রতিক্রিয়া বিধানসভার স্পিকারের? বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'বিলটা পাস হওয়ার পর, রাজভবনে গিয়েছে রাজ্যপালের সম্মতির জন্য়। সেই বিলের সম্মতি আমাদের কাছে আসেনি'। তাঁর মতে, 'এতদিন পরে থাকার কোনও কারণ নেই। দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখার ফলে যে পরিস্থিতিতে বিলটা পাশ করানো হল, সেই পরিস্থিতির যৌক্তিকতা অনেক সময় হারিয়ে যায়। রাজ্যপালকে ব্য়াপারটা বুঝতে হবে। সংবিধান সংশোধন করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প হতে পারে না। ৬ মাস বা তার কম সময়ের জন্য একটা সময়সীমা নির্ধারণ করার প্রয়োজন রয়েছে'।
রাজভবনে তখন জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসানোর প্রস্তাবেও অনুমোদন দেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধনের জন্য ধানসভায় বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুধু তাই নয়, ভোটাভুটি সেই বিল পাসও হয়ে যায় বিধানসভায়। এরপর রীতমাফিক বিলটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে।