Home> কলকাতা
Advertisement

'সহজ অপরাধেই প্রচুর আয়' কলকাতায় ছড়িয়ে প্রতারণা চক্রের জাল

জানা গিয়েছে, প্রতারণা চক্রের প্ররোচনায় দিল্লি থেকে একের পর এক রোমানিয় এসেছে কলকাতায়। আর এবার তদন্তে নেমে এমন হাজারও তথ্যের খোঁজ পেল কলকাতা পুলিসের গোয়ান্দারা।

'সহজ অপরাধেই প্রচুর আয়' কলকাতায় ছড়িয়ে প্রতারণা চক্রের জাল

নিজস্ব প্রতিবেদন: 'খুব সোজা অপরাধ' করে টাকা আয়, আর টোপেই নাকি ছুটে আসছেন রোমানিয়রা। জানা গিয়েছে, প্রতারণা চক্রের প্ররোচনায় দিল্লি থেকে একের পর এক রোমানিয় এসেছে কলকাতায়। আর এবার তদন্তে নেমে এমন হাজারও তথ্যের খোঁজ পেল কলকাতা পুলিসের গোয়ান্দারা।

সম্প্রতি, এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতার হয় রোমানিয়ার বাসিন্দা সিলভিউ ফ্লোরিন। পুলিসকে সে জানিয়েছে, ওখানে বন্দরে একটি শিপিং সংস্থায় কাজ করত। সেটা ছেড়ে ইন্ডিয়াতে আসে টাকা আয় করতে। কিন্তু প্রশ্ন, ভাল চাকরি ছেড়ে অপরাধে কেন? কেনই বা এটিএম জালিয়াতিতে বার বার রোমানিয়রা গ্রেফতার হচ্ছে? তদন্তে উঠে আসছে একাধিক সূত্র। 

জেরায় সিলভিউ জানায়, প্রথম বার তিনি ভারতে বেড়াতে আসেন। সেই সময়ই আলাপ হয় রোমানিয় এটিএম প্রতারকদের সঙ্গে। তার পর সহজে বেশি টাকা রোজগার করার লক্ষ্যেই বেছে নিয়েছিলেন প্রতারণার রাস্তা। সিলভিউ-সহ বেশ কয়েকজন রোমানিয়রা জানিয়েছে, আড্ডার ঠেকের মূল আলোচনা বিষয়ই সহজে টাকা আয়ের পদ্ধতি। সেখানেই এই সহজ এটিএম জালিয়তির কথা বোঝানো হয়। তাঁরা আগেও এই অপরাধ করে ফিরে গিয়েছে বলেও দাবি করা হয় সেই আড্ডায়।

আরও পড়ুন: বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলনে অভিভাবকরা, ধুন্ধুমার বাগুইআটির স্কুলে

শেষ নয় এখানেই, জানা গিয়েছে বিগত কয়েকমাসে ২৫৮ জন রোমানিয় কলকাতায় এসেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই এটিএম জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ইতিমধ্যে। কলকাতা পুলিসের এক কর্তা বলেন, 
"শুধুমাত্র সহজে অপরাধের কথা বলে উবুদ্ধ করা করা নয়। কীভাবে ক্রাইম করবে সেটাও শিখিয়ে দেয় এই দল।" আর টাকার প্রয়োজনে ফাঁদে পা দেন অনেকেই।

Read More