Home> কলকাতা
Advertisement

ধাবায় বচসার জের, রাগে গাড়ির তলায় পিষে যুবককে খুন অ্যাপ ক্যাব চালকের

ঘটনার তদন্ত শুরু করে দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিস। এরপরই গাঢ় হয় সন্দেহ। উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই খুন করা হয়েছিল সঞ্জয় হালদারকে। 

ধাবায় বচসার জের, রাগে গাড়ির তলায় পিষে যুবককে খুন অ্যাপ ক্যাব চালকের

নিজস্ব প্রতিবেদন: রিমাউন্ট রোড কাণ্ডে নয়া মোড়। দুর্ঘটনা নয়, গাড়ির চাকায় পিষে খুন করা হয়েছিল যুবককে। আজ, শনিবার অভিযুক্ত অ্যাপ ক্যাব চালককে গ্রেফতার করল দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিস। উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত ২১ জুলাই। সেদিন রিমাউন্ট রোড থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। পরিচয়পত্র থেকে জানা যায় নিহতের নাম সঞ্জয় হালদারের।  

শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিস। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল দুর্ঘটনার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। দুর্ঘটনার মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিস। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি হতেই গাঢ় হয় সন্দেহ। উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই খুন করা হয়েছিল সঞ্জয় হালদারকে। 

২১ জুলাই রাতে ধাবায় খেতে গিয়েছিলেন সঞ্জয় হালদার। সেখানেই এক ক্যাব চালক দিলীপ রামের সঙ্গে বচসা বাঁধে সঞ্জয় হালদারের। গন্ডগোলের পর বেরিয়ে যান সঞ্জয় হালদার। তখনই তাঁকে গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করেন অভিযুক্ত চালক। রিমাউন্ট রোডের কাছে ফাঁকা রাস্তায় সঞ্জয়বাবুকে ধাক্কা মারে ওই অ্যাপ ক্যাব চালক। বাইক থেকে পড়ে যান সঞ্জয়বাবু। এরপরই তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যান চালক। জানা গিয়েছে,  মৃত্যু নিশ্চিত করতে ১০ মিনিট পর ফের ওই রাস্তায় ফিরেও এসেছিলেন অভিযুক্ত দিলীপ রাম। 

আরও পড়ুন: লাইনে পড়ে নাকি বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু সজল কাঞ্জিলালের, মেট্রোর সুড়ঙ্গে নেমে তদন্তে ফরেন্সিক দল

প্রথমে দুর্ঘটনা মনে হলেও,  তদন্ত এগোতেই সামনে আসে আসল ঘটনা। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে দক্ষিণ কলকাতা থেকে অভিযুক্ত দিলীপ রামকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘাতক গাড়িটির খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Read More